সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির নীতিমালা জারি

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মহানগরীতে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা সংরক্ষণের বিধান রেখে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য নীতিমালা জারি করেছে সরকার। গতকাল রোববার এ নীতিমালা জারি করা হয়। জেলা ও উপজেলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

নীতিমালায় বলা হয়, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে সকল মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন গ্রহণ, আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রকাশ অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূতভাবে কোনো কারণে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তা ম্যানুয়ালি করা যাবে।

এলাকা কোটা ৪০ শতাংশ:  ঢাকা মহানগরীর সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন আগের নিয়ম অনুযায়ী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সকল সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন ক্যাচমেন্ট এলাকা নির্ধারণ করবে।

ভর্তির বয়স: সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। ভর্তির ঊর্ধ্বসীমা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে।

ভর্তি কমিটি: শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে কমিটি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে পরিচালনা কমিটির সভা আহ্বান করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়। ঢাকা মহানগরীর ভর্তির কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক। এছাড়া জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির প্রধান হবেন।

ভর্তি প্রক্রিয়া: এবারও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারি করতে হবে। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তি জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুত করা মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী বাছাই করার নির্দেশনা দেয়া হয়। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণমান ৫০। এর মধ্যে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং গণিতে ২০। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান ১০০। এর মধ্যে বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০ ও গণিতে ৪০। ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। আবেদন ফরমের মূল্য ১৫০ টাকা।

 

Leave a comment