স্টাফ রিপোর্টার: পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ জনের মধ্যে আলমসাধু চালক মজনু ও নির্মাণ শ্রমিক মোস্তাফিজুর রহমানের আবস্থা গুরুতর।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধুযোগে ২০/২২ জনের একদল নির্মাণ শ্রমিক বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উজিরপুর মোড়ের অদূরে পিকআপের ধাক্কায় ১৩ জন শ্রমিক আহত হন। অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে ঝিলখালি-বাগুন্দর মধ্যবর্তি স্থানে। কাঁচামাল নিয়ে আলমসাধুযোগে বাগুন্দ বাজারে যাওয়ার পথে বস্তার ওপর আছড়ে পড়ে আহত হন দুজন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের ২০/২২ জন নির্মাণ শ্রমিক চুয়াডাঙ্গা নূরনগরে ড্রেন নির্মাণের কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের দামুড়হুদা উজিরপুর বাঁকে শ্রমিকদের বহন করা আলমসাধুর পেছনে ধাক্কা মারে একটি পিকআপভ্যান। আছড়ে পড়ে আহত হন ১৩ শ্রমিক। এরা হলেন- কুড়ুলগাছির হাতেমের ছেলে করিম শেখ (৪৫), ফরজ আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৮), মুকুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২০), মৃত সোবাদ শেখের ছেলে বাবু শেখ (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে আতিয়ার রহমান (৩৫), মৃত জোরান মোল্লার ছেলে বাবলু (৪০), আলালের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫), আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩৮), আলমসাধু চালক মজনু (৩৮), মৃত রবিউল হকের ছেলে শামসুল আলম (৪২), আব্দার শেখের ছেলে তারিকুল ইসলাম (৩০), মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আলী হোসেন (৪৫)। এছাড়া অটোচালক দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুরের রবিউল হকের ছেলে সোনা মিয়া (৩০)।
এদিকে আলমডাঙ্গা বাগুন্দার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে ওয়াদুদ (৩০) ও ইসরাইলের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫) আলমসাধুর ওপর থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। আলমসাধুযোগে কাচামাল নিয়ে ঝিলখালী থেকে বাগুন্দ বাজারের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।