গাংনী প্রতিনিধি: মাসরিকুল ইসলাম ২০১১ সালে মেহেরপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপরেও তিনি এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী। গতকাল রোববার গাংনী জেএসসি কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। আর এর মধ্যদিয়েই বেরিয়ে এসেছে তার জেএসসি পরীক্ষা দেয়ার রহস্য। মাসরিকুল ইসলাম ওরফে মাইকেল ওরফে এসিডি অরণ্য গাংনী উপজেলার ভরাট গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে। স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সে। তার কোচিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতেই এই পরীক্ষার্থী সাজার প্রতারণা বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
গাংনী হাইস্কুল কেন্দ্রের ১২১ নম্বর কক্ষে জেএসসি পরীক্ষায় সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে অংশ নেয় এসিডি অরণ্য। তার রোল ২৬৯৯৮০ ও রেজি. নং ১৬১৩৭২৪২২১। প্রতারণা সন্দেহ হলে গতকাল ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার সময় তাকে আটক করেন পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা। আর জিজ্ঞাসাবাদে মেলে আসল তথ্য। গত বছর সে বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে মাইকেল নামে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার তার নাম এসিডি অরণ্য। কিন্তু তার প্রকৃত নাম মাসরিকুল ইসলাম। ভর্তির সময় তার বয়স সন্দেহ হলেও তা সঠিক নিরুপণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দেখে মনে হবে না সে এইচএসসি পাস।
জানা গেছে, মাসরিকুল ইসলাম গ্রামেই কোচিং সেন্টার খুলেছেন। সেখানে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতেই এই প্রতারণার আশ্রয়। নিজে স্কুলে ভর্তি হয়ে বেনামে জেএসপি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার ওই কক্ষে তার কোচিং ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। আর এতেই তার ছাত্রছাত্রীদের ভালো ফলাফল মেলে। তবে মাসরিকুলের দাবি এইএসসিতে ভালো ফলাফল না হওয়ায় নতুন করে সে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। আবারো এসএসসি পাসের ইচ্ছে ছিলো।
এদিকে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা তাকে আটক করে সহকারী কশিনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করেন। জেএসসি পরীক্ষার আর অংশ নেবে না এবং আর কোনোদিন এমন প্রতারণা করবে না মর্মে মুচলেকায় মুক্তি পায় মাসরিকুল।