স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নের সুবিধাভোগিদের নামের তালিকায় হতদরিদ্রর চাইতে অর্ধেকের বেশি বিত্তবানদের নামে তালিকা হয়েছে বলে অনেকেরই অভিযোগে। অভিযোগকারীদের অভিযোগের প্রমাণ মিললো। রিলিফের চাল তুলে বিক্রি করলেন কুন্দিপুর গ্রামের ইয়ার নবী। এছাড়াও ওই গ্রামে নামের তালিকায় রয়েছে স্বচ্ছ ব্যাক্তিদের নাম।
চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অক্টোবর মাস থেকে খাদ্য-বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। অনেক কাটা ছেড়ো করে হিসাব অনুযায়ী সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে ১২শ ৪৫ ও তিতুদহ ইউনিয়নে ১২শ ২৪ জন সুবিধাভোগিদের তালিকা তৈরি করা হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কার্ড ধারিদের মধ্যে চাল বিক্রি করতে গিয়ে দেখা যায় তালিকায় অর্ধেকের বেশি হতদরিদ্রদের চাইতে স্বচ্ছ ব্যাক্তিদের নাম অর্ন্তভুক্তি হয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও করা হয়েছে। অভিযোগের নামের তালিকায় রয়েছে স্বচ্ছ দলীয় নেতা কর্মী, পাকা ঘর, ৫-৭ বিঘা জমির মালিক, ট্রাকটারের মালিক ও ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। ফলে অতিদরিদ্র, প্রতিবন্ধীদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের নাম তালিকা ভুক্ত হওয়া কেউ কেউ চাল তুলে খাওয়াচ্ছেন গরুকে। আবার কেউ করছেন বিক্রি। বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সিরিয়াল নম্বর ৩৭২ ইয়ান নবী রিলিফের চাল তুলে ২৮ টাকা কেজি দরে গ্রামের দোকানদার ইছার কাছে বিক্রি করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুন্দিপুর গ্রামের নামের তালিকায় ৩৬৪, ৩৭৫, ৩৭৮, ৩৮০, ৩৮৪, ৩৮৬ নম্বর সিরিয়ালের নাম ধারীরা বিত্তবান হওয়া স্বত্তেও এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। তালিকা থেকে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের অর্ন্তরভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাসফিকুর রহমান বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তালিকায় যে সমস্থ স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নাম অর্ন্তভুক্ত আছে বলে শোনা যাচ্ছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।