গাংনী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের আয়-ব্যয়ে অসঙ্গতি : তদন্তে নামছে শিক্ষা অফিস

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ে বড় ধরণের অসঙ্গতি তদন্তে নামছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার বলেন, এ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গাংনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ দীর্ঘদিন থেকেই অবস্থান ধরে রেখেছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে অসঙ্গতির বিষয়টি দুঃখজনক। প্রকাশিত সংবাদ ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত মৌখিক তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। অবশ্য কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ দেখভাল করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি অনেক দূর পর্যন্ত গড়াতে পারে তাই দ্রুত তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণ মিললে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়টির অর্থ ব্যবস্থাপনার সরকারী নীতিমালা অমান্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘণ করলে অবশ্যই তা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে নিজের ইচ্ছেমত আয়-ব্যয়ের কার্য সম্পাদন করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার অসঙ্গতির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকবৃন্দ। এ বিষয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখার শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও দোকানঘর বরাদ্দসহ বিভিন্ন অভিযোগ এখন আকাশে-বাতাসে ভাসছে। সমালোচনার মুখে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথম পর্যায়ে জাতীয় করণ না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষক-কর্মীচারীদের মাঝে। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তবে বরাবরই সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে এটি তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি করে আসছেন প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন।