মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্থ টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে রাখলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজেলউড ও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে স্টার্ক ও হ্যাজেলউডের বোলিং তোপে ২৪২ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে ওয়ার্নারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দিন শেষে বিনা উইকেটে ১০৫ রান তুলেছে অসিরা। এখনো ১৩৭ রানে পিছিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস। ব্যাট হাতে নেমেই অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার স্টার্ক-হ্যাজেলউড ও পিটার সিডলের বোলিং তোপে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৩২ রানের মধ্যে ওপরের সারির চার ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার স্টিফেন কুককে শুন্য হাতে ফিরিয়ে দেন স্টার্ক। এরপর কুককে অনুসরণ করে শুন্য হাতে ফিরেন তিন নম্বরে নামা হাশিম আমলাও। উইকেট শিকারী ছিলেন হ্যাজেলউড। ফলে ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেকাদায় পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ঘুড়ে দাড়ানোর চেষ্টা করেন সফরকারী দু’ব্যাটসম্যান ওপেনার ডিন এলগার ও জেপি ডুমিনি। কিন্তু তাদের সাফল্যের মুখ দেখতে দেননি হ্যাজেলউড ও সিডল। এলগারকে ১২ রানে হ্যাজেলউড ও ডুমিনিকে ১১ রানে ফিরিয়ে দেন সিডল। চার ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ডু-প্লেসিস, তেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। প্লেসিস ৩৭ ও বাভুমা ৫১ রান করে পরিস্থিতি সামলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দেড়শ অতিক্রম করান। তবে দু’শ নীচে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু সাত নম্বরে নেমে ৮৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন উইকেটরক্ষক কুন্টন ডি কক। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০১ বলে ৮৪ রান করেন ডি কক। তার ইনিংসের উপর ভর করে ২৪২ রানে পৌছায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক ৪টি ও হ্যাজেলউড ৩টি উইকেট নেন। দিনের শেষভাগে ২১ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। সেই ২১ ওভারে ৬২ বল মোকাবেলা করে অপরাজিত ৭৩ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। তার ইনিংসে ১৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ওয়ার্নারের সঙ্গী শন মার্শ খেলেন ৬৭ বল। তবে তার রান ২৯। তাই ওয়ার্নার ও মার্শের কল্যাণে বিনা উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।