সরকারি উন্নয়নে অংশীদার হতে আয়কর দেয়া প্রয়োজন

চুয়াডাঙ্গায় আয়কর মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব, জনকল্যাণে রাজস্ব ’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা উদ্বোধন করা হয়েছে চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় আয়কর অফিস প্রাঙ্গণে ওই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।

পরে খুলনা কর অঞ্চলের পরিদর্শী যুগ্ম কর কমিশনার মুকুল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা জজ কোটের পিপি অ্যাড. শামসুজ্জোহা, চুয়াডাঙ্গা সাকেল ৯ এর সহকারী কর কমিশনার শামসুজ্জামান ও দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার। জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সাকেল ৯ এর সহকারী কর কমিশনার শামসুজ্জামান।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, আয়কর মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো। দেশে রাজস্ব আয় দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো একটি সেতু হচ্ছে যেটি এখন দৃশ্যমান। ওই আয় দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন হচ্ছে। তাই সরকারি উন্নয়নে অংশীদার হতে আয়কর দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া নিয়মিত আয়কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে সকলকে আহ্বান জানান তিনি। পরে মেলার বিভিন্ন  স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকালে শহরের মাওলানা ভাষানী সড়কে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। খুলনা কর আপীল অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মুহাম্মদ মহিতুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন, জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি খান্দকার মাহবুবুল আলম, কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কর্মকর্তা রোকসানা খাতুন, আয়কর আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অশোক কুমার দাস। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা আগামী ৫ নভেম্বর শেষ হবে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত আয়কর দাতাগণ আয়কর প্রদাণ করতে পারবেন। এ মেলার মাধ্যমে সাধারণের মাঝে আয়কর বার্তা পৌঁছানো, করনেট সম্প্রসারণ ও কর প্রদাণ কার্যক্রম সহজ হবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।