ঘোলদাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল হামিদ ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল হামিদকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গতকাল বৃহস্পৃতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে জামিনের আবেদন করেন আব্দুল হামিদ। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ জুলাই আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামে মাদরাসায় যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য কলম আলী (৫২)। সহযোগিতা নেয় তার বন্ধু ঘোলদাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল হামিদকে। হামিদ মাস্টারের মোটরসাইকেলযোগে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে সুবদিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতভর ধর্ষণ করে কলম আলী। পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে কলমকে আটক করলে স্থানীয় যুবকদের ম্যানেজ করে সেখান থেকে আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুরে মসলেমের বাড়িতে তোলে ওই ছাত্রীকে। সেখানেই খাসকররা কাবিলনগরের আলোচিত কাজি মঞ্জুকে ডেকে বিয়ের নামে সাদা কাগজে ছাত্রীর স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপর সেখানে সারাদিন তালাবদ্ধ এবং রাতভর ধর্ষণ করা হয়। সপ্তাহখানেক পর একই গ্রামের আইয়ূব আলীর বাড়ি নিয়ে রাখা হয় এক সপ্তাহ। বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন সইতে না পেরে ওই বছরের ৯ নভেম্বর পালিয়ে যায় ওই ছাত্রী। এরপর কলম আলী, হামিদ মাস্টার ও কাজি মঞ্জুর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করে। ওই মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার আব্দুল হামিদ মাস্টার আদালতে হাজির হলে তাকে আটক করে। আরেক আসামি কলম জামিনে আগেই মুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।