সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানা জল্পনা তৎরতা

 

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন? দলটির সর্বত্র এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে এই একটি প্রশ্ন। দুইদিনব্যাপী কাউন্সিলের গতকাল উদ্বোধনী দিনেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগত দলের কেন্দ্র থেকে শুরু থেকে প্রান্তিক নেতাদের মধ্যেও জল্পনা-কল্পনা ছিলো সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরে। ‘নেত্রী আমাকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন’- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য এবং ‘কাউন্সিল শেষে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সকল জল্পনা-কল্পনা ভুয়ায় পরিণত হবে’-বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একথা রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে। তবে যতো গুঞ্জন, তত্পরতা, রহস্য- সবকিছুরই জট খুলবে আজ রোববার। তবে এই জট খোলার আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নানা আলামত, তত্পরতা ও গুঞ্জন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। কাউন্সিলের গতকালের উদ্বোধনী পর্বে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেগঘন বক্তব্য উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আকৃষ্ট করে। তার বক্তব্যের মাঝে-মাঝে নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। বক্তব্যের আগে-পরে মঞ্চে তার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষণে-ক্ষণে আলাপের দৃশ্যগুলোও নেতা-কর্মীদের দৃষ্টি এড়ায়নি। ‘আমি আওয়ামী লীগের সন্তান, আওয়ামী লীগের একজন সদস্য ব্যথা পেলে আমিও সেই ব্যথা অনুভব করি, আমি দুইবার সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে দলে কোনো ইজম সৃষ্টি হয়নি’- আশরাফের এসব বক্তব্যের মধ্যেও বার্তা বা ইঙ্গিত খোঁজার চেষ্টা করছেন নেতাকর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গত কয়েকদিনের বক্তব্য-মন্তব্য এবং সর্বশেষ গতকাল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার তত্পরতা নিয়েও হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছেন নেতা-কর্মীরা। এমনকি কাউন্সিলকে ঘিরে তার গত কয়েকদিনের শরীরি ভাষাও বোঝার চেষ্টা করছেন তারা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল যখন সম্মেলনস্থলে এসে পৌঁছান তখন এগিয়ে গিয়ে তাকে ওবায়দুল কাদেরের শুভেচ্ছা জানানোর দৃশ্যও বিশ্লেষণ করতে দেখা গেছে নেতাদের কাউকে কাউকে। সবমিলিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন, এনিয়ে এখনও গোলক ধাঁধায় রয়েছেন নেতা-কর্মী সমর্থকরা। আজ সম্মেলন শেষে এই ধাঁধা কেটে যাবে, জানা যাবে সাধারণ সম্পাদকের নাম।