দামুড়হুদার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে পিকআপ ভ্যান ও উদ্ধার সরজ্ঞামাদির অভাব : ব্যাহত হচ্ছে সেবা

 

স্টাফ রিপোর্টার: গতি সেবা ত্যাগ। এই  প্রতিপাদ্য সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা-দর্শনা সড়কের লোকনাথপুর তালতলা নামক স্থানে কোল ঘেঁসে ১ কোটি টাকার ও বেশি ব্যয়ে নির্মিত উপজেলার একমাত্র ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করেছে।

স্টেশনসূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বার পর্যন্ত সেবা মূলক এই তৃতীয় শ্রেণির  এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের সেপ্টেম্বার পর্য়ন্ত ৪২টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত থেকে ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদ উদ্ধার করেছে এবং অগ্নিকাণ্ডে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৯ হাজার টাকা। ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনার কবল থেকে ৩৬ জনকে আহত অবস্থায় ৫ জনকে নিহত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের মূল্য ৭৬ লাখ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ১৬ জন স্টাফ  নিয়োগের বিপরীতে আছে ১৩ জন। সেবা মূলক স্টেশনটি জনবল কম থাকায় ও পিকআপ ভ্যানসহ জরুরি উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত সরজ্ঞামাদি না থাকার কারণে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূলতার ফাঁদে পড়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। বর্তমান সরকার উপজেলাবাসী দাবির সমার্থন জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে এখানে একটি ফায়ার সর্ভিস স্থাপন করা হয়েছে।

হাউলী  ইউপি চেয়ারম্যান  মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু বলেন, মানুষের কল্যাণে নির্মিত সেবামূলক ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া দরকার। এলাকাবাসীর দাবি একটি পিকআপ ভ্যান বা  দ্বিতীয় কলসহ প্রয়োজনীয়  জরুরি উদ্ধারের সরঞ্জামাদি, বিদ্যুত চলে গেলে স্টেশনটিতে অন্ধকারে কবল থেকে রক্ষা করতে বিকল্প বিদুত ব্যবস্থা জন্য একটি জেনারেটর ও স্টেশন অফিসার পদসহ শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া দরকার।