দর্শনায় র‌্যাব’র ক্রসফায়ারে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদার দুজন নিহত

ভি.জে স্কুলছাত্র সজিব অপহরণ ও খুম গুম মামলার মূল আসামি রাকিবের পর তার দু সহযোগির পতন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সজিব অপহরণ ও খুন-গুম মামলার আরো দু আসামি র‌্যাব’র ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে। গতরাত পৌনে তিনটার দিকে দর্শনা শান্তিপাড়া বাইপাস সড়কের র‌্যাব’র সাথে গুলির লড়াইয়ে নিহত দুজন হলো- চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার সবুজ ও দামুড়হুদার সেই শাকিল। এই শাকিলই স্কুলছাত্র সজিবকে দামুড়হুদার বৃক্ষমেলার মাঠ থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার সিঅ্যান্ডবিপাড়াস্থ অপহরকচক্রের ডেরায় পৌঁছে দেয়। র‌্যাবসূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, একটি পাইপগান, ২টি হেঁসো ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ব্রিজপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহফুজ আলম সজিব ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। তাকে গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ বৃক্ষমেলা থেকে অপহরণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়াস্থ জেলা মৎস্য অফিসের অদূরে গড়ে তোলা আলুকদিয়া ইউপি মেম্বার চকপাড়ার রাকিবুল ইসলাম রাকিব গ্যাঙের ডেরায় নেয়া হয়। সেখানে বন্দি করে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে অপহরক ঘাতকচক্র ওই ডেরারই উঠোনে নির্মাণ করা সেপটিক ট্যাঙ্কে লাশ ফেলে গুম করে। সাজিবের মোবাইলফোন দিয়েই অপহরকচক্র মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের কমান্ডার জানার পর তদন্ত শুরু করেন। বেরিয়ে আসে স্কুলছাত্র সজিব অপহরণ ও হত্যার পর লাশ গুমের তথ্য। অপহরণের ৩২ দিনের মাথায় গত ৩১ আগস্ট সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। এর ১৬ দিনের মাথায় দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় র‌্যাব’র ক্রসফায়ারে নিহত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিব মেম্বার। এর এক মাসের মাথায় গতরাতে র‌্যাব’রই ক্রসফায়ারে নিহত হলো একই মামলার এজাহারনামীয় অপর দু আসামি সবুজ ও শাকিল।

সবুজ চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবি গাংপাড়ার মৃত হামিদুল ইসলামের ছেলে। শাকিল দামুড়হুদার আব্দুল কাদেরের ছেলে। সে রাকিবের চার্জার লাইট কারখানায় চাকরি নিয়ে অপহরকচক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়। সজিবের বন্ধু ছিলো শাকিল। সজিব অপহরণ মামলায় রাকিবের শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালকসহ ৫ জন জেলহাজতে রয়েছে।