ঝিনাইদহের বাজারগোপালপুর সীমান্তে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা : ধ্বংসের পথে যুবসমাজ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরের সীমান্তে সারুটিয়া গ্রাম মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সারুটিয়া গ্রামের জনৈক নামের অধ্যাক্ষর এ ওরফে ই দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন এমনকি ইয়াবা ট্যাবলেট পর্যন্ত বিক্রি করছে। চলছে মাদকের অবৈধ কারবার। যুবসমাজ হাত বাড়ালেই খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে সর্বনাশা এসব মারণনেশা।  আবার বাজার গোপালপুরে একটি স্বার্থানেষী মহল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভদ্রলোকবেশী শাদা পোশাকে ব্যবসার আড়ালে নির্বিঘ্নে মাদক রমরমা ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন মাদকবিরোধী অভিযান না থাকায় অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি হয়েছে। এছাড়া কৌশলে সিগারেটের মধ্যে ২৫-৩০ টাকার বিনিময়ে তৈরি গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে। এতে যুবসমাজ দিনদিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই ছোটছোট ডাকাতির মতো জঘন্য ঘটনা। অভিভাবকরা রয়েছে চরম দুশ্চিন্তায় আর অজানা আতঙ্কে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ধ্বংস হয়ে যাবে এলাকার অনেক সাজানো পরিবার।

মাদকের নেশায় আক্রান্ত কয়েকজনের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান, দৈনিক নেশা করতে তাদের ৩-৪শ টাকা প্রয়োজন। শুরুতে হাত খরচের নামে বাবা-মায়ের নিকট থেকে টাকা নেয়া হতো। কিন্তু সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়াই চুরি-ছিনতাই এবং সুযোগ বুঝে ছোটখাটে ডাকাতির মতো ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। এমন অসংখ্য তরতাজা তরুণ-যুবক মাদকে ছোবলে আক্রান্ত হয়ে অকালে ঝড়ে পড়লেও তা দেখার কেউ নেই। হাতের নিকট সহজে নেশা জাতীয় দ্রব্য পেয়ে বিপথগামী হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। সুযোগ বুঝে এখান থেকে পুলিশের অসাধু কর্মকর্তা বখরা আদায় করছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ মদকদ্রব্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পারিবারিকভাবে সচেতন সৃষ্টি করতে না পারলে মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা কঠিন।