ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম লিভারপুলের মধ্যকার বহু প্রতীক্ষিত ‘হাই ভোল্টেজ’ ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র হয়েছে। সোমবার ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করলেও এর প্রতিফলন দেখা যায়নি মাঠে।
এদিন শুরু থেকে স্বাগতিক লিভারপুলকে চাপের মুখে রেখেছিল ইউনাইটেড। তবে ক্রমশ নিজেদের গুছিয়ে সফরকারীদের সমুচিৎ জবাব দিয়েছে অল রেডসরা। জার্গেন ক্লপসের ছোয়ায় বদলে যাওয়া লিভারপুলের বেশ কটি আক্রমন রুখে দিয়ে দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ইউনাইটেড গোল রক্ষক ডেভিড ডি গিয়া।
শুরুতে কোন দল খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। শুধুমাত্র জøাতান ইব্রাহিমোভিচ ও পল পগবার কম্বিনেশনে স্বাগতিক শিবিরে সময়িক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ইউনাইটেড।
তবে ওই টুকুই, কঙ্খিত গোলের দেখা পাননি তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবশ্য লিভারপুলও বেশ কটি নিস্ফল প্রতি আক্রমণ রচনা করেছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল করার দারুণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন ইউনাইটেডের সুইডিশ তারকা জøাটান ইব্রাহিমোভিচ। ৫৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে পগবার ক্রস থেকে বল পেয়ে সরাসরি জালে না পাঠিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন ইব্রা। চার মিনিট পর প্রতি-আক্রমণে সুযোগ পেয়েছিলেন এমরে ক্যান।
তার নেয়া জোরালো শটের বল ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডি গিয়া। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে ফের দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন তিনি। ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফিলিপ কটিনহোর নেয়া শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন তিনি।
ম্যাচের শেষ ১৩ মিনিট খেলেত সাইডলাইন থেকে ওয়েন রুনি উঠে এসেও জেতাতে পারেননি ইউনাইটেডকে। যদিও ম্যাচ শেষে নিজ দলের প্রশংসায় লিপ্ত হন ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহো। লিগে আগের ৫ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ইউনাইটেড। যে কারণে পয়েন্ট তালিকায় লিভারপুলের চেয়েও নিচে নেমে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে তারা। অপরদিকে লিভারপুলের অবস্থান চতুর্থ। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাতকারে ম্যান ইউ কোচ মরিনহো বলেন, ‘ম্যাচটি আমরাই নিয়ন্ত্রণ করেছি। শুধু কৌশলগতভাবে নয়, মানসিক দিক থেকেও। আমার মনে হয় দল ইতিবাচক পারফর্মেন্স করেছে। তাদেও মাঠে তাদের সমর্থনের বিপরীতে আনফিল্ডে লড়াই করাটা বেশ কঠিন ছিল। তবে আমরা সফল হয়েছি।’