এবারও ফসকে গেলো অভিযুক্ত ট্রাক চালক ইদ্রিস ও বাবুল

 

স্টাফ রিপোটার: দেশের সবকটি চিনিকল থেকে স্প্রিট তৈরি কাচামাল চিটাগুড় সংগ্রহ করে থাকে কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ। মোবারকগঞ্জ চিনিকল থেকে চিটাগুড় আনতে গিয়ে চুরির অভিযোগে কেরুজ চিনিকলের ২ ট্রাক চালককে আটকে রাখা হলো দিনভর। দেনদরবার ও তদবিরে অবশেষে ছাড়া পায় অভিযুক্ত চালক ইদ্রিস ও বাবুল। অভিযোগ উঠেছে, গত মঙ্গলবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল থেকে চিটাগুড় আনার জন্য কেরুজ চিনিকলের ২টি ট্রাক নিয়ে যান চালক দর্শনা শ্যামপুরের ইদ্রিস আলী ও চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক জীবননগরের খয়েরহুদার বাবুল আক্তার। এ সময় ৪ কন্ট্রিনার ভরে চিটাগুড় চুরি করে লুকানোর সময় মোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষের নজরে পরে। হাতেনাতে চিটাগুড় সহ আটকে রাখা হয় অভিযুক্ত চালক ইদ্রিস আলী ও বাবুল আক্তারকে। আটককৃতদের ছাড়ানোর জন্য শুরু হয় দেনদরবার ও তদবির। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে দুজনকে ছাড়া হয়। কেরুজ চিনিকলের ভাবমূর্তি নষ্টকারি অভিযুক্ত চালক ইদ্রিস আলী ও বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। এদিকে চুরিকৃত ৪ কন্ট্রিনার চিটাগুড় গত পরশু কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিয়েছে মোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের পরিবহন বিভাগের প্রকৌশলী ইউসুফ আলী চুক্তি ভিত্তিক চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের ফয়দা লুটে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে চুক্তি ভিত্তিক চালকদের কদর তার কাছে বেশি। নিয়মিত চালকদের বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে ইউসুফ আলী চুক্তি ভিত্তিক চালকদের দিয়ে দেশীয় মদ ও ফরেন লিকারসহ মিলের মূল্যবান সম্পদ সরবরাহ করে থাকেন বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে। কেউ কেউ বললেন, জয়পুরহাটে ঘটিয়ে আসা অঘটনের ঘাটতি পূরণ করতে কি মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউসুফ আলী?