১০ টাকা চাল বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে তালিকা প্রণয়নসহ যেকোনো অনিয়ম হলে ডিলার ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে এমনটি আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যদি কেউ তালিকায় অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের প্রয়োজন তাদের নাম না থেকে যদি সচ্ছল কারও নাম থাকে তাহলে ওই সচ্ছলদের নাম বাতিল হবে এবং অসচ্ছলদের নাম দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার জাতীয় সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে সরকারি দলের সদস্য মীর শওকত আলী বাদশার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। প্রতি ৫শ জনের জন্য একজন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিলার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা হতদরিদ্রদের তালিকা করে সেই অনুযায়ী চাল বিতরণ করবে। এই তালিকা প্রস্তুতকালে কোন গড়মিল বা অনিয়ম যেন না থাকে সংসদ সদস্যরা সেই তালিকা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবেন। সরকারি কর্মকর্তারাও যেন পরীক্ষা করে দেখেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বক্তৃতায় ১০ টাকা কেজি চালের কথা বলেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় অসচ্ছল, হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল বিতরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সরকারি দলের সদস্য ইস্রাফিল আলমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ কর্মসূচি দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করে যাই এমনটি স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের দীর্ঘমেয়াদী বন্যার পর ২০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে ৫৫ লাখ মানুষের মাঝে ৯ মাস বিতরণ করেছি। তাই যতোদিন প্রয়োজন ১০ টাকা মূল্যের এই চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। যদিও অদূর ভবিষ্যতে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ায় এই কর্মসূচি লাগবে না, তবে যারা শারীরিকভাবে অক্ষম, বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের তাদের মাঝে এই বিতরণ অব্যাহত রাখবো।

ইসরাফিল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সারাদেশে ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ে গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিকেজি ১০ টাকা করে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছে। তিনি বলেন, এ কর্মসূচির নাম হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং এর শ্লোগান হচ্ছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।