খাসকররায় পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিকে ম্যানেজ করেই পড়ানো হলো বাল্যবিয়ে

 

স্টাফ রিপোর্টার: টাকায় কি না হয়। চাচাতো ভাইয়ের কিশোরী শালিকার সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমসম্পর্কে অবসান ঘটাতে বিয়ের পিড়িতে বসতেই বয়সের বাধা। অবশেষে বিয়ের বয়স না হতেই স্থানীয় নেতা, মেম্বার ও পুলিশকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দেয়া হয় বিয়ে।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ের জহুরুলনগর গ্রামের লাল্টু মিয়ার বড় মেয়ের বিয়ে হয় খাসকররার রায়সা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে আলম উদ্দিনের সাথে। বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা যাওয়ার মাঝে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রজনীর সাথে (১২) আলম উদ্দিনের চাচা আরমান উদ্দিনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সেলিমের (১৩) প্রেমসম্পর্ক  গড়ে ওঠে। সম্পর্কের মাঝে তারা প্রায়ই তারা ফোনে আলাপ করতো। সেলিম আত্মীয়তার সূত্র ধরে রজনীদের বাড়িতে অনেকবার রাতযাপন করেছে। তাদের প্রেম এক সময় ঘনিষ্ঠ হয়েছে পড়ে। তার প্রেমসম্পর্ক থেকে বিবাহ বন্ধনে জড়াতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দুজনের বয়স না হওয়ার কারণে ফিরে আসে তারা। গত বুধবার ফিসে এসে সেলিমের বন্ধু খাসকররা গ্রামে চাঁদের বাড়িতে তাদের রাতযাপন করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনা হতে থাকে। এরই মাঝে আবির্ভাব হয় দালালচক্রের। তাদেরকে বিয়ে দেয়ার কথা বলে রায়সা সানবাধা পাড়ার বিশারত মণ্ডলের ছেলে সুয়োগ সন্ধানী কথিত নেতা বাবলু মিয়া পুলিশকে ম্যানেজ করতে দুই পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেই মোটা অঙ্কের টাকা। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় মেম্বার এবং বাবলু মিয়া রজনী এবং সেলিমের বিয়ে দিয়ে দেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টাকা নেয়ার বিষায়টি জানাজানি হয়ে যায়। দুপুরে খাসকররার ক্যাম্পের আইসি এএসআই এবি হাফিজ উদ্দিন এবং বাবলু মিয়ার মধ্যে বাজারে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। পরে ওই টাকার ভাগ পাওয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়ের বাড়িতেই সেলিম এবং রজনী বাসর সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাসকররা ক্যাম্পের আইসি হাফিজুর রহমান জানান, আমি বাবলুকে বিয়ের ব্যাপারে গতদিন নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু কিভাবে আবার ছেলে মেয়ের বয়স না হতেই আপনি তাদের বিয়ে দিয়ে দিলেন। বাবলুর সাথে আমার টাকা পয়সা দিয়ে কোনো কথা হয়নি।