স্টাফ রিপোর্টার: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেনা ব্রিগেডে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের টানাপোড়েনের জের ধরে ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছে না ভারত। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ভুটানও ওই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। ফলে আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ১৯ তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ গতকাল মঙ্গলবার তার দপ্তরে এক প্রশ্নের জবাবে সার্ক সম্মেলনে ভারতের যোগ না দেয়ার তথ্য জানান। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। কাঠমাণ্ডর একটি কূটনৈতিক সূত্রের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বাংলাদেশও ওই সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সার্কের বর্তমান সভাপতি দেশ নেপালকে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
বিকাশ স্বরূপ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস এক সাথে চলতে পারে না। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত।
সার্ক সনদ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার আট-জাতির আঞ্চলিক জোটের কোনো সদস্য দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান না গেলে শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। এদিকে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আফগানিস্তান, ভুটান এবং বাংলাদেশও সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিকাশ স্বরূপ এক প্রশ্নে জবাবে তার টুইটে বলেন, সার্কের সভাপতি দেশ নেপালকে ভারত জানিয়েছে এ অঞ্চলে আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ায় এবং সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি দেশের হস্তক্ষেপ বেড়ে যাওয়ায় এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, যা নভেম্বরে ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সহায়ক নয়। আঞ্চলিক সহযোগিতা, কানেকটিভিটি ও যোগাযোগের ব্যাপারে ভারত তার অঙ্গীকারের ব্যাপারে অবিচল আছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া সম্ভব নয়। বিকাশ স্বরূপ আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারছি সার্কের আরও কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির জাকারিয়া তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, সার্ক সম্মেলনে যোগ না দেয়ার ব্যাপারে ভারতের মুখপাত্রের টুইট তারা দেখেছেন। তবে এ ব্যাপারে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে কিছু জানায়নি। ভারতের এই ঘোষণাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করে তিনি। নাসির জাকারিয়া আরও লিখেছেন, পাকিস্তান শান্তি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলের জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে যাবো।