গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে স্মারকলিপি

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামানের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন অধ্যক্ষ আফজাল হোসেনসহ শিক্ষকবৃন্দ। স্মারকলিপি জাতীয়করণের আকুতি জানিয়েছেন এ উপজেলার প্রাচীনতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রাচীনতম মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৪৫ সালে ৩ দশমিক ৬৬ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা এ জনপদের নিম্নআয়ের মানুষের সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিকাশে এক তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ১৯৮৬ সালে পাইলট ও ২০০৮ সালে মডেলভুক্ত হওয়ায় ভৌত অবকাঠামোর দিক দিয়ে স্বনির্ভর। বিভিন্ন শাখায় মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ৬টি ভবনে ৪২টি কক্ষ, আধুনিক কম্পিউটর ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাসহ খেলার মাঠ রয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবস ও অনুষ্ঠান পালনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে এ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রবৃন্দ।

জেলার সবচেয়ে বেশি ছাত্রছাত্রী জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাচ্ছে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ২ হাজার ৭০০ জন নিয়মিত ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রের অন্যান্য অঙ্গনে কৃতীত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। অসংখ্যবার জেলার সোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা গায়ে লেপন হলেও মেলেনি সোনার হরিণ সেই জাতীয়করণ। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অনেক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের তাদের আত্মত্যাগ অসামান্য। অনেক ছাত্রছাত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশ ও জাতির অগ্রগতিতেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গাংনী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও জনমনে হতাশা দেখা দিয়েছে। তাই যোগ্য এই প্রতিষ্ঠানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরজমিন তদন্তপূর্বক জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।

স্মারকলিপি পেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক-১ আশরাফুল আলম খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক-২ আশরাফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সামসুল হায়দার, প্রভাষক শাহীন আহম্মেদ ও শফি কামাল পলাশসহ শিক্ষকবৃন্দ।