আজ জিতলেই সিরিজ বাংলাদেশের

স্টাফ রিপোর্টার: আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বেশ ফিল্ডিং মিস হয়েছিলো বলেই কি-না, গতকাল ফিল্ডিং অনুশীলনে একটু বাড়তি মনোযোগ মনে হলো খেলোয়াড়দের। ফিল্ডিং কোচের শূন্যে ছুঁড়ে দেয়া একটা বল দারুণভাবে লুফে নিলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। দলের সেরা ফিল্ডারের এ প্রদর্শনী দেখে সবাই করতালিও দিলেন। পাশ থেকে এক মাঠকর্মী বললেন, পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকে বিরাট ব্যবধানে হারাবে বাংলাদেশ। হ্যাঁ, এখন প্রত্যাশা এটাই।

প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ বেলায় দারুণ স্নায়ুর পরীক্ষায় জিতেছে বাংলাদেশ, নিজেদের বড় দল বলেই প্রমাণ করেছে। কিন্তু স্বরূপটা দেখাতে পারেনি। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কাগজে-কলমে লক্ষ্য অবশ্যই সিরিজ জয় নিশ্চিত করা। তবে ভেতরে ভেতরে সবার চাওয়া, চেনা দাপটটা ফিরে পাওয়া। এ জোড়া লক্ষের সাথে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের শততম ওয়ানডে জয়েরও স্বপ্ন। দেখতে দেখতে ৯৯টা ওয়ানডে জিতে ফেলেছে বাংলাদেশ। আজ জিতলে সেটা হবে শততম জয়। আর এই তিনমুখী লক্ষ্য নিয়ে আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। খেলা শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসব লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা খুব বড় করে কিছু বলতে চাইলেন না। শততম জয়টা আজ না হলে কাল হবে, সুতরাং এ নিয়ে আলাদা দুশ্চিন্তার কারণ দেখেন না তিনি। এটা মানছেন যে, প্রথম ম্যাচের মতো চাপ বা জড়তা এই দ্বিতীয় ম্যাচে থাকবে না। তারপরও তিনি দাপট দেখানোর কথা বলতে রাজি নন। তবে একটা ব্যাপার আজকের ম্যাচটা তাদের জেতাটা খুব জরুরি। কারণ হিসেবে বললেন, ‘আমাদের জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। একটা ব্যাপার, সেকেন্ড ম্যাচ জিতলে সিরিজটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। এজন্য দ্বিতীয় ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ।

 

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আসবে কি না, সে ব্যাপারে অধিনায়ক বা দলের কেউই মুখ খুলতে চাইলেন না। তবে ভেতরের সূত্র থেকে যতোটুকু জানা গেলো, তাতে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষে নন তেমন কেউ। যদিও একটা মত আছে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা রানখরার মধ্যে থাকা সৌম্য সরকারকে বিশ্রাম দিয়ে তামিম ও ইমরুলকে উদ্বোধনী জুটি বানিয়ে ফেলার। সে ক্ষেত্রে খালি জায়গায় অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢুকে যাওয়ার সুযোগ থাকে।

তা না হলে সৈকতকে অভিষেকের জন্য আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে। নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, নাসির হোসেন ও সফিউলকে আজও সাইডলাইনে বসে দেখতে হবে খেলা। যথারীতি আজও বাংলাদেশের তুরুপের তাশ থাকবে টপ অর্ডার ব্যাটিং ও পেস বোলাররা।

উল্টো দিকে আফগানিস্তান আরও বেশি করে স্পিনারদের ওপর ভরসা করতে চাইবে। এদিকে তাদের সিনিয়র দুই খেলোয়াড়কে দলে ফেরানোর সম্ভাবনা খুব একটা নেই। একমাত্র একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে, অভিষিক্ত পেসার নাবিন-উল হক আজ সুযোগ নাও পেতে পারেন।