খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সুলতান আহমেদের চেক নিয়ে প্রধান শিক্ষকের টালবাহানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতার আহমেদের অবসরের কল্যাণ ট্রাস্টের চেক নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ছলচাতুরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবসর জীবনের চেক হাতে না পেয়ে মানবতের জীবযাপন করছেন সুলতান আহমেদ। চেকটি ফেরত পেতে প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেরই দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। কালুপোল পৌস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ চেকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়েছে বললেও প্রধান শিক্ষক তা অস্বীকার করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে তা হলে কি চেকটি আত্মসাৎ করা হয়েছে, না কি দায়িত্ব অবহেলার কারণে কোথাও পড়ে আছে, না হলে চেকটি গেলো কোথায়?

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা গ্রামের আফিজ উদ্দিনের ছেলে সুলতান আহমেদ ১৯৮১ সালের ২০ ডিসেম্বর অফিস সহকারী হিসেবে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দোগদান করেন। ২০১৩ সালের ২ মার্চ কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে ওই বছর ২৮ মে কাগজপত্র ঢাকা অফিসে জমা দেন। মাঝে মধ্যে সুলতান আহমেদ খোঁজ নেন কালুপোল পৌস্ট অফিস আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নিকট। কোনো সাড়া না পেয়ে অবশেষে অনেক তদবির করে প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মাথায় গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা অফিস থেকে চেকটি ছাড় হয় (চেক নং A5704664 চিঠি রেজি: নং 933) তার। বেশ কিছুদিন পরও চেকটি হাতে না পেয়ে সুলতান আহমেদ ঢাকা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার চেক ঢাকা অফিস থেকে ছাড় করা হয়েছে। চেকের সন্ধান নিতে সুলতান আহমেদ কালুপোল পৌস্ট অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ২ মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর চেকটি পৌস্ট অফিসে এসেছে। ৪ মে তা বিলিও করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে পৌস্ট অফিসের জার্নাল খাতা খুলে দেখা যায় ৯৩৩ নং রেজিস্ট্রি ডাকে আসা খামটি বিতরণ করা হয়েছে। চেকের সন্ধানে সুলতান খাড়াগোদা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নিকট গেলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন তিনি কোনো চেক পাননি। তা হলে প্রশ্ন উঠেছে চেকটি কি কেউ লুকিয়ে রেখেছে, না কি দায়িত্ব অবহেলার কারণে কোথাও পড়ে আছে? সুলতান আহমেদর চেকের ব্যাপারে দায় নিচ্ছে না পৌস্ট অফিস কিংবা প্রধান শিক্ষক। এবিষয়ে কালুপোল পৌস্ট মাস্টারের নাতি ছেলে দায়িপ্রাপ্ত বাবুল বলেন, চিঠি এসেছে প্রাপকের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ধরনের কোনো চিঠি গ্রহণ করিনি। গতকাল কালুপোল পৌস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন চেকের ওই খামটি প্রকৃত প্রাপকের নিকট দেয়া হয়েছে যেখানে তার স্বাক্ষর আছে।

একটিসূত্র বলেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমদের নিকট গিয়ে পরামর্শ দেন জিডি করার। তখন তিনি বলেন, আমি চেক পায়নি তো জিডি করবো কেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষি ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলোক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।