চুয়াডাঙ্গায় দুর্ঘটনা : পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত আলমসাধু চালক আহত : সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকামুখী দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাদল সর্দ্দার ওরফে গোপাল (৫৫) নিহত এবং আলমসাধুচালক হাফিজুর রহমান (৪০) আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলার হায়দারপুর তালবাগান এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই স্থানে ভয়ানক বাকের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা দুর্ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে।

নিহত বাদল সর্দ্দার ওরফে গোপাল চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়া রেলকলোনির কালিপদ সর্দ্দারের ছেলে। আহত হাফিজুর রহমান মেহেরপুর জেলা সদরের নতুন দরবেশপুর গ্রামের মৃত মানিক চাঁনের ছেলে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। একটি পা গুঁড়িয়ে গেছে। হাফিজুর রহমান ভাই ভাই অটো মিলের নিয়মিত আলমসাধু চালক। গতকাল আটা সেমাই ময়দা নিয়ে ঝিনাইদহে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ডিঙ্গেদহ হাটখোলা থেকে তার আলমসাধুতে তোলেন বাদর সর্দ্দারকে।

নিহতের ছোট ছেলে রানা সর্দ্দার জানান, চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ হাটখোলা বাজারের মাছপট্টির পরিচ্ছন্ন কর্মী বাদল সরকার কাজ শেষে আলমসাধুচালক বাবু হোসেনের গাড়িতে (শ্যালোইঞ্জিনচালিত যান) বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হায়দারপুর তালবাগান এলাকায় পৌঁছুলে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের একটি বাস ধাক্কা দিলে দুজনই আহত হন। এরপর তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার পরপরই বাদল মারা গেছে এবং আহত বাবুর ডান পা ভেঙে গেছে। বাদল সর্দ্দার এক সময় ডিঙ্গেদহের শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠে পরিছন্ন কর্মী পদে চাকরি করতেন। অবসর গ্রহণের পর ডিঙ্গেদহ হাটখোলা মাছের বাজারের পরিষ্কার করার কাজ করতেন। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় নিহত হন।