আলমডাঙ্গার মধুখালী মাঠে ডাকাতদলের দায়ের কোপে নিহত ভুলুর দাফন সম্পন্ন : গ্রামজুড়ে শোকের মাতম

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের নতিডাঙ্গা মধুখালী মাঠে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতদলের দায়ের কোপে নিহত ভুলুর লাশ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। পুলিশ ডাকাতির সাথে জড়িত তেমন কাউকে গ্রেফতার করতে না পরলেও সোনাতনপুর গ্রামে ডাকাত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের নতিডাঙ্গার গ্রামের ২০-২২ জনের গরু ব্যবসায়ী জীবননগরের শিয়ালমারী গরু হাট থেকে ১০টি গরু নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর মোড়ে টহল পুলিশ মধুখালী রাস্তায় যেতে নিষেধ করে। কিন্তু লাটাহাম্বারচালক তৌহিদসহ গরু ব্যবসায়ীরা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে সেই রাস্তায় যান। পুলিশ থেকে ৫শ গজ দূরে রাস্তার ওপর পাটকাঠির বোঝা পড়ে থাকতে দেখে লাটাহাম্বারচালক তার ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলে পেছন থেকে ডাকাতদল দাড়া দাড়া বলে চিৎকার করে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। গাড়ি না থামালে গাড়ির পাশে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাতদল। বোমার শব্দে গরু ব্যপারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গাড়ির সামনে আর একটি পাটকাঠির বোঝা দিয়ে রাস্তার বেরিকেট দেয়া ছিলো। সামনের দিক থেকে আর একটি ডাকাতদল গরু ব্যপারীদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ডাকাত দলের দায়ের কোপে নতিডাঙ্গা গ্রামের রবিউলের ছেলে ভুলু, বদরের ছেলে মিলকি, চান্দালীর ছেলে বাবলু, সাবুদ্দিনের ছেলে আজিজুল, ঠাণ্ডুর ছেলে জিয়া, বারেকের ছেলে ইকরামুল গুরুতর আহত হন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতদল গরু ব্যাপারীদের কাছে থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। নতিডাঙ্গা গ্রামবাসী সংবাদ পেয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক ভুলুকে মৃত ঘোষণা করেন। ভুলুর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌছুলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ভুলুর নিকটজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নতিডাঙ্গা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে ভুলুর লাশের জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।

ডাকাতির ঘটনায় রাতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাত ১২টার দিকে পুলিশ ও এলাকাবাসী নতিডাঙ্গা, গোলায়ালবাড়ি, মাদারহুদা মাঠ ঘিরে রাখে। পুলিশ রাতভোর অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর গ্রামের হাজারির ছেলে রকো নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।