মেধার বিকাশ ঘটিয়ে দেশের উন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। যে শিক্ষার্থীরা দারিদ্রতার কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, তাদের উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে লেখাপড়া চলমান রাখার সুযোগ করেছে সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।’ গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা পরিষদ চত্বরে জেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতি অনেক মেধাবী। তবে সেই মেধাকে দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারলে দেশ আরও দ্রুত উন্নত হবে। বাঙালিদের সম্পর্কে ব্রিটিশ ভারতে বলা হত, Bengal thinks today, whole India thinks tomorrow অর্থাত বাঙালিরা আজকে যা চিন্তা করছে, সারা ভারতবর্ষ আগামীকালকে তা চিন্তা করবে। সুতরাং বাঙালিরা কোন কালেই কমা ছিলো না। এরা যুগযুগধরে মেধার দিক থেকে অনন্য ভূমিকা রেখেছে। ভারতবর্ষে যে কয়জন নবেল পুরস্কার পেয়েছেন তারা বাঙালি। তাই মেধাকে সঠিক কাজে লাগিয়ে দেশের সেবা করতে হবে। ওই মহত কাজের আয়োজন করায় জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মো. আবু সাঈদ, প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম ইস্রাফিল, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, অভিভাবকসহ আরও অনেকে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফের ছন্দময় সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান। চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ও ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাইছার আহমেদ বাবলু। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর সরকারি এমএম কলেজের রসায়ন ৪র্থ বর্ষের ছাত্র এসএম জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির (বিজ্ঞান বিভাগ) ছাত্রী সিদরাতুল মুনতাহা ও মাগুরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র লাল্টু হক।

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রশাসক বলেন, কোচিং ব্যবস্থা মান সম্মত শিক্ষার অগ্রগতির অন্তরায়। তাই কোচিং ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর বৃত্তির হার বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। পরে ২১৩ দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সর্বমোট ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫শ টাকার এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ের ১২৭ ছাত্র-ছাত্রীদের ২ হাজার ৫শ টাকা এবং মেডিকেল বা ডেন্টাল (এমবিবিএস), প্রকৌশল (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং), বিশ্ববিদ্যালয় (কৃষি) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাধারণ)  ৮৬ জন ছাত্র-ছাত্রীদের ৪ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। যারমধ্যে মেয়ে সংখ্যাই বেশি ছিলো।