পানি থেকে বাঁচতে হলে সাঁতার শেখা দরকার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ারদ্দার ছেলুন এমপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। পুকুরে, জলাশয়ে, খালে বা নদীতে খেলতে গিয়ে এমন কোনো দিন নেই পানিতে ডুবে কেউ না কেউ মারা না যাচ্ছে। শুধুমাত্র সাঁতার না জানার বা না শেখার কারণেই এমনটি হচ্ছে। তাই পানি থেকে বাঁচতে হলে সাঁতার শেখের প্রয়োজনীয়তা অপরাশীম।

একটি সময় ছিলো গ্রামের শিশুরা পুকুরে বা জলাশয়ে খেলতে খেলতে সাঁতার শিখে যেতো। এখন দিন পাল্টে গেছে। তিনি আরও আরও বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়া এসে লেগেছে গ্রামেও। ফলে গ্রামের অধিকাংশ শিশু এখন আর পুকুর, জলাশয়, নদী বা খালে যাওয়ার সুযোগ পায় না। তারা এখন তাদের স্নান সারে ঘরের বাথরুমের বাথট্যাবে। ফলে পুকুরে গিয়ে গোসল করার সুযোগ আর তাদের হয়ে উঠে না। আর তাতেই সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শিশু। পানিতে ডুবে প্রতিবছর মারা যাওয়া হাজার হাজার শিশু কিশোরকে রক্ষা করতে সাঁতার শেখার কোনো বিকল্প নেই। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারিভাবে সাঁতার প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলতে পারলে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে হাজার হাজার শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। আর সেটি সম্ভব হলে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার শুণ্যের কোটায় নেমে আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আশা করি চুয়াডাঙ্গায় এ সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিশু-কিশোররা প্রশিক্ষণ নিয়ে সাঁতার শিক্ষতে পারবে। পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ারদ্দার টোটন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাড্ডু, মজিবুল হক মালিক মজু ও ওবাইদুল হক।