চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটিরসভা অনুষ্ঠিত : ডিসেম্বরের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা ঘোষণার প্রস্তুতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটিরসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারি ৫৯টি দফতরসহ জেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতির বিষয়টি অন্যতম।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সঞ্চালনায় এবং জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হামিম হাসান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ও জেলার সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা  উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গাকে ঘোষণা করা হবে। সে লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে সচেষ্ট হতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তালিকা তৈরি করে দ্রুত জমা দিতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ১৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পড়াশুনা পরিচালনা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তরা যখন কোনো এলাকায় যাবেন সেই এলাকার স্কুলগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নেবেন। ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিসের আওতায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, দামুড়হুদার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম গোলাম সারওয়ার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এসএমএ সানী, রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শওকত আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।