জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে আবারও ছিনতাই

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে সন্ধ্যরাতে ফের ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে। যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা নাবালক চালককে বেঁধে রেখে পাখিভ্যান ছিনতাই করেছে। অল্পের জন্য আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ বক্সের অদূরে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া কুলতলা হঠাতপাড়ার মনি চৌকিদারের নাবালক ছেলে শাকিল (১৫) সন্তোষপুর মোড়ে পাখিভ্যান নিয়ে ভাড়ার অপেক্ষায় অবস্থান করছিলো। চালক শাকিল বলছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাথাপিছ ১০ টাকা ভাড়া চুক্তিতে ৩ যাত্রী নিয়ে আন্দুলবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা দিই। পথিমধ্যে পুলিশ বক্স ও কনটেক মিলের মাঝামাঝি পৌঁছুলে যাত্রী বেশী ৩ ছিনতাইকারী আমাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাখিভ্যান ছিনিয়ে নেয়। তারা চালককে মুখে বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে ধারালো অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেল গতিরোধ করার চেষ্টা করে। মোটরসাইকেল চালকের পিছু নিয়ে তাড়িয়ে ধরতে ব্যর্থ হয়। এ সুযোগে পাখিভ্যানচালক সন্তোষপুর অভিমুখে দৌড় দেয়। ছিনতাইকারী দল তার পিছু নিয়ে তাড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ সন্তোষপুর সড়কপথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাখিভ্যান চালক তাকে ছিনতাই সর্ম্পকে সর্তক করলে তিনি অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল ঘুরিযে সন্তোষপুর পৌঁছান। ঘটনা শুনে উপস্থিত জনতা সংঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ছিনতাইকারী দল ধরতে ঘটনাস্থলে পৌঁছাঁলে ছিনতাইকারীরা নির্জন মাঠের দিকে সটকে পড়ে। পথচারী ও জনতা মাঠ ও সড়কে অনুসন্ধান চালিয়ে ছিনতাইকৃত পাখিভ্যান উদ্ধার করতে পারেনি। আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চোরম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও শিমুল হোসেনের বরাত দিয়ে মাথাভাঙ্গা এ প্রতিনিধিকে জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই একই স্থানে ছিনতাইকারী দল মোটরসাইকেল গতিরোধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ বক্সে কোনো টহল পুলিশ ছিলো না।

প্রসঙ্গত: গত ৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ওই স্থানে ডাকাতদল গাছ ফেলে পিকআপ ও মিশুক গতিরোধ করে নগত ১৭ হাজার টাকা ও মোবাইলফোনসহ চালক ও যাত্রীর নিকট থেকে সর্বস্ব লুট করে নেয়।

Leave a comment