চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় র‌্যাবের সাথে গুলির লড়াইয়ে অপহরকচক্রের হোতা রাকিব মেম্বার নিহত

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় র‌্যাবের সাথে গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আলুকদিয়া ইউপি মেম্বার রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলের ছাত্র সজিব অপহরণ ও খুন গুমের হোতা। গতরাত আড়াইটার দিকে গোবিন্দহুদায় র‌্যাবের টহলদলের ওপর গুলি ছুড়লে পাল্টা গুলি ছোড়ে র‌্যাব। এতে গুলিবিদ্ধ হয় ইউপি মেম্বার রাকিব। তাকে দামুড়হুদার চিৎলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ আঞ্চলিক ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন র‌্যাবের একটি টহল দল গতরাতে দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় টহলে গেলে একদল দুষ্কৃতী গুলি ছোড়ে। র‌্যাব পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ চলে গুলির লড়াই। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলি, একটি শাটারগানসহ ধারালো অস্ত্র হেঁসো উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা ব্যক্তি আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চকপাড়ার রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সে ভিকু মণ্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় শিশু সজিব অপহরণ ও খুন গুম মামলা রযেছে। সজিব চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। তাকে গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যার পর দামুড়হুদার বৃক্ষমেলা থেকে কৌশলে তারই এক বন্ধু শাকিলের মাধ্যমে ডেকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ সিঅ্যান্ডবিপাড়া জেলা মৎস্য অফিসের অদূরবর্তী রাকিবের চার্জার লাইটের কথিত কারখানায়। সেখানে সজিবকে আটকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একপর্যায়ে হত্যা করে ওই ডেরার উঠোনে সেপটিক ট্যাংকে গুম করা হয় লাশ। র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। অপহরণের ৩২ দিনের মাথায় গত ৩১ আগস্ট সেপটিক ট্যাংক থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় রাকিবের শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালককে। এরপর র‌্যাবের সাথে গুলির লড়াইয়ে ঝরে গেলো অপহরণের হোতা রাকিব।