ঈদের পর চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হাটবাজারে সবজির দাম দ্বিগুণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের পরপরই দাম বেড়েছে কয়েকটি সবজির। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হাট-বাজারে বেগুন, কাঁচাকলা, কাঁচা মরিচসহ বেশকয়েকটি শাক-সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণে দাড়িয়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। পাশাপাশি অন্যন্য কাঁচা তরকারি শাক-সবজির দামও বেশ চড়া। টানা বর্ষণে কৃষকদের সবজি বিনষ্ট হওয়ায় কাঁচা সবজির দাম দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের গলির কাঁচা বাজার, কেদারগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বদরগঞ্জ, সরোজগঞ্জ ও ডিঙ্গেদহ হাট-বাজারে কমেছে কাঁচা তরকারির সরবরাহ। ঈদুল আজহা তথা কোরবানির পর এসকল হাটের খুচরা ব্যবসায়ীরা কাঁচা সবজিও তুলছেন কম। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে টানা বর্ষণের ফলে বিনষ্ট হয়েছে জেলার কৃষকদের রোপণকৃত শাক-সবজি ও কাঁচা তরকারি। বৃষ্টিতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবজির বাজারে আগুন বলে ধারণা করছেন অনেকেই। কৃষকসহ খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন একই কথা।

চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, কেজি প্রতি সব ধরনের সবজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পযর্ন্ত। ৭০ টাকার টমেটো ১শ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে ১৩ টাকার ঝিঙে বতর্মান বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে, ১৮ টাকার কচু ২৫, ২০ টাকার ঢেড়স ২৪, ২৫ টাকার পটল ৭০, ১শ টাকা কেজি কাচা মরিচ বতর্মান হাটে খূচরা বিক্রি করা হচ্ছে ২শ থেকে ২২০-৩০, ১৭ টাকার বেগুন ৩০, ১৬ টাকার কাঠালী কাচ কলা ৩৫, ১৯ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নতুন সবজি মূলা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, রসুনের দাম দুই গুণ বেড়েছে।

সবজি বিক্রেতা বদরগঞ্জ হিঙ্গেরপাড়ার মুহাম্মদ আলী জানান, ঈদে প্রায় সকলেই ছুটি কাটানোর ফলে সবজির সরবরাহ ছিলো তুলনামূলক কম। বিক্রেতাও ছিলো হাতেগোণা কয়েকজন। ফলে দাম বেড়েছে সবজির।

ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী একরামুল হাসান ও দুখু মিয়া বলেন, ঈদের দিন ও পরের দিন রাজধানী ঢাকায় কোনো শাক-সবজির ট্রাক যায়নি। তাছাড়া শহরের ব্যবসায়ীরা ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে আসার ফলে ঢাকায় কাঁচামালের আড়ৎ বন্ধ রয়েছে। ফলে কাঁচা সবজির বেচাকেনা হ্রাস পেয়েছে।