হেলিকপ্টারে উড়ে এসে দিলেন আগামী দিনের প্রার্থীতার ঘোষণা!

 

জীবননগর ব্যুরো: ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে এসে নামলেন, দিলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা! এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতা পেলে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন, তরুণদের নিয়ে দেবেন আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক ও ব্যবসায়ী হাশেম রেজা। বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে।

কুড়ুলগাছি গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে হাশেম রেজা ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক। পাশাপাশি ব্যবসাও করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে ঈদ উপলক্ষে হেলিকপ্টারযোগে তিনি বাড়িতে এসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এবার এসে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে সপরিবারে জীবননগর পাইলট হাইস্কুল মাঠে এসে নামেন হাশেম রেজা। এ সময় দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতকর্মীসহ বিভিন্ন দল ও শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হাশেম রেজাকে এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। জীবননগর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব সম্পাদক মুন্সি মাহবুবুর রহমান বাবু, সাংবাদিক নারায়ন ভৌমিক, আতিয়ার রহমান, কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, আকিমুল ইসলাম, মুন্সি ওয়াহেদুল ইসলাম খোকন, জামাল হোসেন খোকন তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। দৌলৎগঞ্জ বাজার কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বায়ক এমআর বাবু, দর্শনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি একরামুল হক পিপুল, সাংবাদিক এসএম ওসমান ও সমাজসেবক রুস্তম আলীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় সাংবাদিক হাশেম রেজাকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এমআর বাবু, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, নারায়ন ভৌমিক ও দৈনিক আমার সংবাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাশেম রেজা তার বক্তব্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, এলাকার দরিদ্র নিষ্পেষিত ও বঞ্চিত মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবো। এখানে এসে আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা উপহার দিয়েছেন তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। আমি এ এলাকার সন্তান আপনাদের সুখে দুখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করবো। তিনি বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, অপনাদের সহানুভূতি ও সহযোগিতা দল হতে মনোনয়ন নিতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, আপনারা যদি আমার আচার-ব্যবহারে ও কথাবার্তায় কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। পরে তিনি সড়কপথে দামুড়হুদার উদ্দেশে রওনা দেন।