জীবননগরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ভুয়া নামে ২০০ প্রকল্পের ৬০০ টন চাল আত্মসাৎ

 

খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আহার্য বাবদ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ভুয়া ২শ স্থানের জিআর বিশেষ বরাদ্দর ৬শ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ আগস্ট ওই বরাদ্দকৃত স্থানগুলোতে জেলা ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে এলাকার লোকজন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাবাদ কোনো জিআর চাল পাননি বলে জানতে পারেন। বিধায় তিনি জেলার ২শ স্থানে কোথাও কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জিআর চাল ব্যবহার করা হয়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলায় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে যে সকল স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুকূলে ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়, তার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও নামযজ্ঞ। বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের ভুয়া নামে যে সকল স্থানে ৩ টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় সেগুলো হলো, সুটিয়া জামে মসজিদ মাঠে, নান্নু মিয়ার বাড়ির সামনে, মানিক মিয়ার বাড়ির সামনে, এনামুল হকের বাড়ির সামনের মাঠে, হাশেম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মোক্তারপুর সালাম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ইব্রাহিমের বাড়ির সামনের মাঠে, সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনে, কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, আলীপুর রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, সালামের বাড়ির সামনের মাঠে, নাজমুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, সিদ্দিক মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, দেলোয়ারের বাড়ির সামনের মাঠে, দেলোয়ারের বাড়ির সামনের মাঠে, হাসাদাহ সামাদ মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সালাম ফকিরের বাড়ির সামনের মাঠে, ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, সানোয়ার মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মাধবপুর সাঈদ মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, আতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, রাশেদ মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, এরশাদ আলী বাড়ির সামনের মাঠে, হাফিজুর রহমানে বাড়ির সামনের মাঠে, আতিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে মাঠে, করিম মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, ইব্রাহীমের বাড়ির সামনের মাঠে, শ্রীরামপুর ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, আতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, আক্তার আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, করিমপুর সালাম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, আমজেদ হোসেনের বাড়ির সামনের মাঠে, বিপ্লবের বাড়ির সামনের মাঠে, সাইদুল আলমের বাড়ির সামনের মাঠে, ইউসুফের বাড়ির সামনের মাঠে, নান্টু মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে,  নান্টু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, বকুন্ডিয়া নাসির হোসেনের বাড়ির সামনের মাঠে, মোর্শেদের বাড়ির সামনের মাঠে, তোতা মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, আব্দুর রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, নাসির হোসেনের বাড়ির সামনের মাঠে, পনেরসুতী জাকির মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, নান্নু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সাঈদ মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সানোয়ার আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, নাজমুলের বাড়ির সামনে, ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, কন্দর্পপুর সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, আতিকুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, রাসেল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মোখলেছুর রহমানের সামনের মাঠে, হাফিজারের বাড়ির সামনে মাঠে, নিশ্চিন্তপুর সালাম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, এনামুল হকের বাড়ির সামনের মাঠে, রাজ্জাকের বাড়ির সামনের মাঠে, হুমায়নের বাড়ির সামনের মাঠে, আমিনুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, কাজল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সালাম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, শাখারিয়ার ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ফুলমিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, আক্তার আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, নজরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, নাজমুলের বাড়ির সামনের মাঠে, রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, লোকমানের বাড়ির সামনের মাঠে, যাদবপুর আতিকুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, নতুনপাড়া জামে মসজিদ মাঠে,সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, আকতার আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, দলোয়ারের বাড়ির সামনের মাঠে, সদরপাড়া নওশেরের বাড়ির সামনের মাঠে, শরিফুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, কাদের মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে,  সিদ্দিকের বাড়ির সামনের মাঠে, ইউনুস আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, মুকুল মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, মেদেনিপুর ইউসুফ আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, বিপ্লবের বাড়ির সামনের মাঠে, নজরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মামুন মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মনোয়ারের বাড়ির সামনে, মিনাজপুর সালাম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, রতনের বাড়ির সামনের মাঠে, আব্বাস আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, মান্টু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ইমরানের বাড়ির সমানের মাঠে, মনোহরপুর একরামের বাড়ির সামনের মাঠে, মনোহরপুর ঈদগাহ মাঠে, আবুল কালামের বাড়ির সামনের মাঠে, ইউনুস আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, আমজাদ হোসেনের বাড়ির সামনের মাঠে, রতনের বাড়ির সামনের মাঠে, কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে,  কাশিপুর রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, নান্নু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনের মাঠে, সিদ্দিক মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মামুন মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সালাম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, করিম মিয়ার কাড়ির সামনের মাঠে, দেহাটি ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, মামুনের বাড়ির সামনের মাঠে, জাকিরুলের বাড়ির সামনের মাঠে, শাহিন মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, আনোয়ারের বাড়ির সামনের মাঠে, খয়েরহুদার জামে মসজিদ মাঠে, বাচ্চু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, আমজাদ আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, খোকনের বাড়ির সামনের মাঠে, সাইদুল আলমের বাড়ির সামনের মাঠে, ঈদগাহ মাঠে, মুক্তারপুর জামে মসজিদ মাঠে, কাদের মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনে, আনিছুর রহমানের, বাকা গ্রামের শফিকুল ইসলামের, আতিয়ার রহমানের, আব্বাস আলীর, সালাম মিয়ার, রতনের বাড়ির সামনে,বেনীপুর বাচ্চু মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, দেলোয়ারের বাড়ির সামনর মাঠে, ধানখোলা দেলোয়ারের বাড়ির সামনে মাঠে, কয়া গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়ির সামনে মাঠে, গঙ্গাদাসপুর শাহীন মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে,,  হরিপুর করিমের বাড়ির সামনে মাঠে, হাবীবপুর ওহাব মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, গোয়ালপাড়া রাজু মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, গয়েশপুর মামুনের বাড়ির সামনে মাঠে, হরিহরনগর কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, ধোপাখালী ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, রাজাপুর কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনে মাঠে, মানিকপুর লুৎফরের বাড়ির সামনে মাঠে, শিংনগর নবাব আলীর বাড়ির সামনে মাঠে, সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে,  উজ্জলের বাড়ির সামনের মাঠে, নান্টু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, আতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে,  আক্কাস আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, সন্তোষপুর ইকবাল মিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, সন্তোষপুর সুব্রতের বাড়ির সামনের মাঠে, দিলিপের বাড়ির সামনের মাঠে, কালা গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, লুৎফরের বাড়ির সামনের মাঠে,  বিল্লালের বাড়ির সামনের মাঠে,  মামুনের বাড়ির বাড়ির সামনের মাঠে,  সোহরাবের বাড়ির সামনে মাঠে, আন্দুলবাড়িয়া ফুলমিয়ার বাড়ির সামনে মাঠে, বাজদিয়া রহিম মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, নাজমুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, জামাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, এনামুল হকের বাড়ির সামনের মাঠে,  বাচ্চু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে,  দেলোয়ারের বাড়ির সামনে বাড়ির সামনের মাঠে, পাকা গ্রামের নজির হোসেনের বাড়ির সামনের মাঠে, বাকা আতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে, গ্রামের শরিফ মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, খোকন মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে,  নূর আলমের বাড়ির সামনের মাঠে, শিয়ালমারীর দেলোয়ারের বাড়ির সামনের মাঠে, দেলোয়ারের বাড়ির সামনের মাঠে, ইকবালের বাড়ির সামনের মাঠে, নান্নু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, সোবহানের বাড়ির সামনের মাঠে, খয়েরহুদার ইকবালের বাড়ির সামনের মাঠে, ধোপাখালীর আফজাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, ছানোয়ার আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে, মানিক মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে, জাহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনে, রাজাপুর ইউসুফের বাড়ির বাড়ির সামনের মাঠে, আতিকুর রহমানের বাড়ির সামনের মাঠে,  হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির সামনের মাঠে, আবুল হান্নানের বাড়ির সামনের মাঠে, রাজ্জাকের বাড়ির সামনে বাড়ির সামনের মাঠে, মানিকপুর ইব্রাহীমের বাড়ির বাড়ির সামনের মাঠে, ফুলমিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে,  সোলাইমানের বাড়ির সামনের মাঠে,  আজগর আলীর বাড়ির সামনের মাঠে, শফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে বাড়ির সামনের মাঠে,    বাজদিয়া মানিক মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে,  শাকের মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে ও লুৎফরের বাড়ির সামনের মাঠে, নজির হোসেনের বাড়ির সামনের মাঠে। এসব স্থানে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের নামে ৩ টন করে চাল বরাদ্দ দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এছাড়াও নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে ভুয়া নামেও ৩ টন করে চাল বরাদ্দ দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এগুলো হলো- সন্তোষপুর কালী মন্দির নামযজ্ঞ, শ্রীরামপুর সন্তোষের বাড়ির সামনে নামযঞ্জ অনুষ্ঠান, সুব্রতের বাড়ির নামযঞ্জ অনুষ্ঠান। মোট ২শ স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার জন্য প্রতিটি স্থানে জিআর বিশেষ বরাদ্দের ৩ টন করে বরাদ্দ দেয় সরকার। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া নাজমুল ইসলামের বাড়ির সামনের মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, আন্দুলবাড়িয়া জামাল মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, আন্দুলবাড়িয়া এনামুল হকের বাড়ির সামনের মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, আন্দুলবাড়িয়া বাচ্চু মিয়ার বাড়ির সামনের মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, আন্দুলবাড়িয়া দেলোয়ারের বাড়ীর সামনের মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হয়েছে কি-না জানার জন্য এবং তারা জিআর প্রকল্পের চাল পেয়েছে কি-না জানার জন্য পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তারা কোনো চাল পাননি। সুতরাং তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেন যেহেতু পরিদর্শন করা স্থানে চাল দেয়া হয়নি সেহেতু উপজেলার কোথাও জিআর বিশেষ বরাদ্দের চাল দেয়া হয়নি বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে আরো জানা গেছে এই বিশেষ বরাদ্দের চাল জীবননগর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী সাইফুর রহমান মালিক নিজ উদ্যোগে মন্ত্রণালয় থেকে তদবির করে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে সরকারি কয়েকজন আমলাকে ম্যানেজ করে চলতি বছরের ২৯ জুন জেলা ত্রাণ বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে উপ-বরাদ্দ নিয়ে ৩০ জুন বিক্রি করে করে আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতি.) আশরাফ হোসেনের সাথে যোগযোগের জন্য তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে জীবননগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী সাইফুর রহমানও ফোন ধরেননি।