ঝিনাইদহের ১৭ হাজার টাকার বাদশার দাম চট্টগ্রামে ২২ লাখ টাকা!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামে বড় সাগরিকা গরুর হাটের অন্যতম আকর্ষণ শাহীওয়াল জাতের ‘বাদশা’ নামের একটি কালো রঙের গরু। ঝিনাইদাহ জেলার হরিনাকুণ্ডু থানার আলমডেঙ্গা বাজার থেকে পাঁচ বছর আগে ১৭ হাজার টাকায় বাছুর অবস্থায় ক্রয় করেছিলেন বকুল মিয়া। বিক্রির জন্য এটি নিয়ে আসা হয়েছে চট্টগ্রামে। ৫ বছরের ব্যবধানে এটির দাম হাঁকানো হয়েছে ২২ লাখ টাকা! তবে সাড়ে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে বাদশার দাম। এছাড়া বাদশার মালিক বাজারে নিয়ে এসেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের আরো দুই ষাড়। সেগুলো কেনা হয়েছিলো ৩ বছর আগে ১ লাখ ৬০ টাকায়। এগুলোরও দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা করে। গতকাল মঙ্গলবার গরুর বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সাগরিকা বাজারের ইজারাদার মোহাম্মদ রাজুর মতে ‘বাদশা’র ওজন প্রায় ২৭-২৮ মণ। কালো রঙের বাদশার উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। লম্বায় ৮ ফুটের বেশি। এখন পর্যন্ত এই বাদশাই বন্দর নগরীর প্রধান পশুর হাটের সবচেয়ে বড় গরু। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানার বাসিন্দা বকুল (৪৫) ও মুকুল (৩৫) সাগরিকা গরুর বাজারে একসঙ্গে গরু নিয়ে এসেছেন ৯টি। চট্টগ্রামের সাগরিকা গরুর বাজারে সবচেয়ে আর্কষণীয় গরু তারাই এনেছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৫/৭টি করে গরু ক্রয় করে সেগুলোকে পরিকল্পিত উপায়ে লালন-পালন করে কোরবানির ঈদ বাজারে নিয়ে আসেন। এই রকম একটি গরুর জন্য দৈনিক ৪ থেকে ৫শ’ টাকার খাবার প্রয়োজন হয়। প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয় ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রীর পেছনে। ‘বাদশা’কে লালন-পালন ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত আনতে অন্তত ১৩ লাখ টাকা ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে জানান মালিক বকুল মিয়া। বাদশা নামের গরুটি সম্পর্কে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেয়াজুল হক বলেছেন, এটা অস্বাভাবিক হলেও একবারেই অসম্ভব নয়। জিন খুবই ভালো হলে এইভাবে আকার পরিবর্তন হয়।