চুয়াডাঙ্গায় উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা ফুঁসছেন!

 

স্টাফ রিপোর্টার: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়ার অভিযোগে পৌর কলেজের প্রভাষক শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। একইভাবে পৌর কলেজ ও সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীরা যথাযথ নম্বর পেলেও পৌর কলেজে অংশগ্রহণকারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের নম্বর কম দেয়ায় জেলা প্রশাসন  ও সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্তে নেমেছে। শিক্ষামন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি অভিযোগ দিতে চলেছে জেলা শিক্ষক-অভিভাবক ফোরাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পৌর কলেজ কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৫৪ জন জিপিএ-৫ লাভ করেন। ৩১৮ জন বিভিন্ন জিপিএ পান। এসব পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেও ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর পায়। ফলে জিপিএ-৫ সংখ্যা কমে যায়। ব্যবহারিক রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে নম্বর কিছুটা ভালো হলেও পদার্থবিদ্যা পরীক্ষায় কম নম্বর হওয়ায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় প্রকৌশলী পরীক্ষায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই অংশ নিতে পারছেনা। অনেকে মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ জানাতে অভিভাবকরা প্রতিদিনই যাচ্ছে যশোর শিক্ষাবোর্ডে। প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৌর কলেজে এক্সটারনাল পরীক্ষক হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানে দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেলাল হোসেন, রসায়ন বিজ্ঞানে একই কলেজের শরিফুল আলম মিল্টন, আলমডাঙ্গা কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বাচ্চু দায়িত্ব পালন করেন। ইন্টারনাল পরীক্ষক হিসেবে পৌর কলেজের পদার্থবিজ্ঞানে প্রভাষক শামীমা সুলতানা, রসায়ন বিভাগে শেখ জুলফিকার আলী ও জীববিজ্ঞানে মো. কামরুজ্জামান দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষক-অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বরসহ পূর্বের কিছু ঘটনা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান জানান,  শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহল থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলেজের একাডেমি কাউন্সিল এ বিষয়ে বিশেষ সভা আহ্বান করেছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই কলেজ অধ্যক্ষের সাথে কথা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।