ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ৩৩ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত : বেতন-বোনাস নিয়ে শঙ্কিত ৬০০ মিল শ্রমিক

 

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের উৎপাদিত দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ৬,৯০০ মেট্রিকটন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় গুদামে পড়ে রয়েছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় চলতি মাসের বেতন ও  ঈদুল আজহার বোনাস পাওয়া নিয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

মোবারকগঞ্জ চিনিকলসূত্রে জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ আখ মাড়াই মরসুমে চিনি উৎপাদন হয় ৪ হাজার ২শ ৩৫ মেট্রিক টন। সর্বশেষ ২০১৫-২০১৬ মাড়াই মরসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরে ৪ হাজার ১২০ মেট্রিক টন তবে উৎপাদন করে ৪ হাজার ১শ ২৫ মেট্রিক টন। গত দুই মাড়াই মরসুমে উৎপাদিত ৮ হাজার ৩শ ৫৯ মেট্রিক টন চিনির প্রায় সবই অবিক্রিত রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ও মোচিক শ্রমিক  ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান জানান, দেশে অনেক চাহিদা থাকলেও  দেশের বাইরে থেকে চিনি আসায় বিক্রেতারা সেই চিনি বিক্রি করছে। যার কারণে সুগার মিলের চিনি এখনো পড়ে রয়েছে। তিনি আরও জানান, মোবারকগঞ্জ মিলের প্রায় ৬শ শ্রমিক কর্মচারীর আগস্ট মাসের বেতন ও  ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে।

৩৩ কোটি টাকার চিনি গুদামে পড়ে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এটি হেড অফিসের সিদ্ধান্ত কবে সেটি বিক্রি করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের এই মিলটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কোটি টাকা দেনা রয়েছে।