মধুখালীতে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে দু প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

 

৭টি ঘরবাড়ি ভাচুর লুটপাট আহত : গ্রেফতার

মধুখালী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোরকদি ইউনিয়নের নির্বাচনী বিরোধ, জমাজমি ও দীর্ঘদিনের পূর্বশত্রুতার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনের লোকজন চর-বাসপুর এলাকার পরাজিত প্রার্থী আহম্মদ শেখের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা করে ৭টি বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ভাঙচুর, ঘরে থাকা মালামাল ও দোকানে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন- ছত্তার সেখ (৫০), আব্দুর রহমান মুন্সি (৫৫), আবু মুন্সি (৬০), খায়রুল (১৫) এবং মোস্তফা (৫০)। এদেরকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনির হোসেন উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। আহতদের মাথায়, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারারো অস্ত্র, ইট এবং লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান।

মধুখালী থানার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ ও ফরিদপুর ৱ্যাব-৮’র একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনের ভাই সেলিম, নিয়ামত, রুস্তমকে আটক করা  হয়েছে।

এ ব্যাপারে আব্দুর রহমান বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনের ভাই সেলিমসহ ২২ জনকে এজাহারে আসামি করে আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট এবং অতর্কিত হামলায় মামলা দায়ের করেন।

পরাজিত প্রার্থী আহম্মদ আলী জানান, চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন আমার সমর্থকেরা ভোট দেয়নি বলে এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কোরকদী ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কোনো কাজ না করে লাখ লাখ টাকা কাগজে-কলমে করেছে এবং আত্মসাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটসহ তাদেরকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো অস্ত্র, বাঁশের লাঠি, ইট-পাটকেল মেরে গুরুতর আহত করে।

চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইলফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ গোলাম নবী শেখকে মোবাইলফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।