ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্লাটারের শেষ লড়াই

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিফা আরোপিত ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শেষ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন এর সাবেক প্রধান সেপ ব্লাটার। এক বছরেরও অধিক সময় ধরে নানা কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত হবার পর ফিফা সভাপতির পদ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির জন্য কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস-এ (সিএএস) আপিল করেছেন সাবেক ফিফা প্রধান ব্লাটার। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করে ৮০ বছর বয়সী ব্লাটার, আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। দীর্ঘ সময় ধরে ফিফা প্রধানের দায়িত্ব পালনকারী ব্লাটারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠলেও তার বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগটি উত্থাপিত হয়েছে সেটি হচ্ছে উয়েফা প্রধান মিশেল প্লাতিনিকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধের ঘটনা। এতে দু জনকেই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে ফিফার নৈতিকতা কমিটি।

পরে বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে ফিফার অভ্যন্তরীণ ওই আদালত নৈতিকতা লঙ্ঘনের জন্য দু জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ডিসেম্বরে দুইজনকেই ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ব্লাটারের প্রতিবেশী সুইস কর্মকর্তা জিয়ানি ইনফানটিনো নির্বাচিত হয়ে ফিফা প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের আগমুহূর্তে গত ফেব্রুয়ারিতে ফিফার একটি আপীল বিভাগ তাদের ওপর আরোপিত শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ছয় বছর করার আদেশ দেন। পরে সিএএসে আবেদন করে প্লাতিনি অপরাধ থেকে মুক্তি না পেলেও নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে আনতে সক্ষম হন। লুসানে ভিত্তিক আদালত প্লাতিনির ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো কমিয়ে চার বছরে নিয়ে আসে। তবে অর্থ দণ্ডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন ওই আদালত। এদিকে ব্লাটার ও প্লাতিনি প্রথম থেকেই বলে আসছিলো যে একটি মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতেই ওই অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্লাতিনিকে ফিফার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিলো। তবে এ সময় প্লাতিনিকে কোন অর্থ দেয়া হয়নি। তাদের দাবি, দু জনের মধ্যে আপস রফার ভিত্তিতেই ২০১১ সালে ওই টাকা লেনদেন করা হয়েছে। যেটি কোনোভাবেই মানতে রাজি হয়নি ফিফা ও সিএএস’র বিচারকরা।

ব্লাটার বলেন, প্লাতিনির সাথে এ চুক্তিটি করেছে ফিফা। তবে সেটি ছিলো মৌখিক। তবে ফিফার কমিটি, নৈতিকতা কমিটি এবং আপীল কমিটি এখনো পর্যন্ত বলছেন যে তারা সেটি বিশ্বাস করেননা। আমরাও কেউ মিথ্যাবাদী নই। তাই বিষয়টি বর্তমান প্যানেলকে বুঝাতে পারার ভাল সুযোগ এখন রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। আর মাত্র একদিন পর এ বিষয়ে সিএএসে শুনানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাবার জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।