জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি আব্দুস সবুর আর নেই

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের ২ নং আন্দুলবাড়িয়া ইউপির জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান হাজি কাজি আব্দুস সবুর আর নেই। তিনি গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে……রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৮৬) বছর।

পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিতসকের নিবিড় পর্যাবেক্ষণে থাকা অবস্থায় অবনতি দেখা দিলে তাকে ১৪দিন লাইফ সার্পেটে রাখা হয়।

পারিবারের সদস্যগণ এ তথ্য জানিয়ে বলছেন, চিকিতসকের পর্রামশে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আন্দুলবাড়িয়াস্থ বাড়িতে নেয়ার পর রাত ৩টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কাজি আব্দুস সবুর ১৯৭৩ সালে আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তৎকালীন সময়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার প্রতিষ্ঠাতা  সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, মরহুম কাজি আব্দুস সবুর জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সফল রাজনৈতিক সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার নারী পুরুষ তার বাড়িতে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্দুলবাড়িয়া বাজার কমিটি নেতৃবৃন্দের আহ্বানে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা  হয়। বেলা আড়াইটার দিকে আন্দুলবাড়িয়া খাজা পারেশ সাহেবের রওজার ঈদগা ময়দানে মরহুমের জানাজা শেষে রওজা গোরস্তানে প্রিয়জনদের অশ্রুসিক্ত নয়নে বেদনা বিধুর পরিবেশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

জানা জায় রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, ৭ মেয়ে, নাতি নাতকুড়সহ অসংখ্য গুনাগ্রহী রেখে গেছেন। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আন্দুলবাড়িয়ার বিশিষ্ট প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আলহাজ কাজি আব্দুস সবুর মিয়ার মৃত্যুতে সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক শোক প্রকাশ করে বলেন, তিনি আমার প্রতিবেশী নন, তিনি ছিলেন আমার অভিভাবকের মতো। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।