সার ঘাটতির অভিযোগে গোডাউন ইনচার্জ কুদ্দুসকে সাময়িক বহিস্কার

 

দর্শনা অফিস: কেরুজ চিনিকলের ৯টি কৃষি খামারে সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে হিজলগাড়ি কেন্দ্রীয় সার গোডাউন থেকে। প্রতি বছরই সার কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটছে। জোড়ালো পদক্ষেপের অভাবেই অভিযুক্ত সার চোরেরা বারবার পাচ্ছে রক্ষা। ফের ফিরছে পুরোনো অভ্যাসে। এবার ঘটনার সাথে সাথে তড়িত ব্যবস্থা নিলেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন। হিজলগাড়ি সার গোডাউনের অভিযুক্ত ইনচার্জকে করলেন সাময়িক বরখাস্ত। ঐতিহ্যবাহী কেরুজ চিনিকলের নিজস্ব জমির পরিমাণ প্রচুর। এ জমির সিংহ ভাগই আখচাষ করা হয়ে থাকে। মিলের ৯/১০ টি কৃষি খামারের আওতায় চলতি রোপণ মরসুমে আখচাষ রয়েছে ১ হাজার ৯শ একর জমিতে। এ খামারগুলোর সার কীটনাশক সরবরাহ করা হয়ে থাকে হিজলগাড়ি খামারের গোডাউন থেকে। হিজলগাড়ি সার গোডাউন ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল কুদ্দুস। চলতি রোপণ মরসুমে সার চুরির অভিযোগ উঠে আব্দুল কুদ্দুসের ওপর। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে ডিজিএম আব্দুল বাকী কর্মকর্তাদের নিয়ে সারের হিসাব মিলাতে যান গোডাউনে। হিসাবকালে ২ হাজার ৪শ কেজি ইউরিয়া, ১ হাজার ২শ ৫০ কেজি টিএসপি এবং ৮শ ৫০ কেজি এমওপি সার ঘাটতি পান কর্মকর্তারা। সার ঘাটতির সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন গোডাউন ইনচার্জ আব্দুল কুদ্দুস। ফলে সার চুরির অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার মিলের প্রশাসন বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আব্দুল কুদ্দুসকে। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন বলেছেন, দুর্ণীতির সাথে জড়িত কারো রক্ষা নেই। অভিযোগ যেকোন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ উঠলে তাতক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ও হচ্ছে। যার যে কর্ম, তার সে রকম ফল ভোগ করতে হবে। আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও খতিয়ে দেখার জন্য আগামী রোববার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই গ্রহণ করা হবে পরবর্তী ব্যবস্থা। এদিকে অভিযুক্ত গোডাউন ইনচার্জ আব্দুল কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি সদত্তোর দিতে পারেননি।