মুজিবনগর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের আওতায় মাঠ পর্যায়ে নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছর ‘জনপ্রশাসন সনদ’ পেলেন মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম। মুজিবনগর উপজেলায় ‘নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদনে উৎসাহিত করণ’ শীর্ষক উদ্বাবনী প্রকল্প পাইলটিং-এর জন্য তিনি এ সম্মান অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এবং ২০১৬ সালে দৈনিন্দন সেবা প্রদান ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
জানা গেছে, সরকারি সেবাকে সহজিকরণ এবং সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য এবছরই প্রথম জন প্রশাসন পদক এবং জন প্রশাসন সনদ প্রদান শুরু হয়েছে। কৃষি অফিসার মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম প্রথম বছরেই মেহেরপুর জেলা থেকে এ সম্মানজনক সনদ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্টব্রীডিং-এ মাস্টার্স করা এ মেধাবী কর্মকর্তা তার শিক্ষা জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রথম বিভাগ/শ্রেণিতে উর্ত্তীণ হয়ে ২৫তম বিসিএস-এর মাধ্যমে ২০০৬ সালে সরকারি চাকুরিতে যোগদেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি মুজিবনগর উপজেলায় কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকে এ অঞ্চলে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মুজিবনগর উপজেলার মাটি ফল ও সবজি চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়া প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ফল উৎপাদিত হয় কিন্তু বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার এসব সবজি ও ফল মানবস্বাস্থের জন্য ছিলো হুমকি স্বরূপ। বিষয়টিকে বিবেচনা করে মুজিবনগর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম স্বাস্থ্য সম্মত নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে নিজ খরচে বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা, কৃষক প্রশিক্ষণ, উপকরণ সহজলভ্য করণ, প্রদর্শনী স্থাপন, মাঠ দিবসের আয়োজন ইত্যাদি ভাবে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির মূল কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এর ফলে ইতোমধ্যে মুজিবনগরের কৃষিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্যে করা যাচ্ছে। মুজিবনগরের মাঠে মাঠে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদনে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম জানান, নিরাপদ ফসল উৎপাদনের এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে তেমনি অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।