চুয়াডাঙ্গায় সুইমিং পুল উদ্বোধন ও কালেক্টরেট স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার : সরকারি কর্মকর্তরা চেষ্টা করলে দেশ এগিয়ে যাবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ইনোভেশন সার্কেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন সভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলার পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামীম হাসান ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  আনজুমান আরা, সদর  ইউএনও কেএম মামুন উজ্জামান, দামুড়হুদা ইউএনও ফরিদুর রহমান, জীবননগর ইউএনও নুরুল হাফিজ ও আলমডাঙ্গা ইউএনও আজাদ জাহান জেলায় গৃহীত ৮১টি ইনোভেশনের হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন। সভা শেষে দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার সদর ইউএনও’র উদ্যোগের নির্মিত সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুইমিং পুল উদ্বোধন এবং  চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া দামুড়হুদার শিবনগরে অবস্থিত ডিসি ইকো পার্কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিন ঘুরে দেখেন।

সভায় প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তরা চেষ্টা করলে দেশ এগিয়ে যাবে। থাইল্যান্ড পেঁপে বিক্রি করে উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশে বহু কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশে আসছে। সরকারি কর্মকর্তাদের রি-ফর্ম করতে হবে। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, কোনো কিছুই বসে নেই। দারিদ্রতা দূর করতে হবে। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে তুলে আনতে হবে। প্রতিটি বিষয় সিরিয়াস এবং কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। নাহলে আপনার জায়গা হবে ডাস্টবিনে। যেসব বিভাগ ইনোভেশন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট হন নাই তাদেরকে সংযুক্ত করতে হবে। সমাজ থেকে ভিক্ষুক দূর করতে হবে। বাল্যবিয়ে ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আরো বেশি বেশি কাজ করতে হবে। ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, পুষ্টিহীনতার কারণে সন্তানরা প্রতিবন্ধী হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ইলেকট্রিশিয়ান তৈরি করতে হবে। সারা বছর ধরে আম গাছে কি করণীয় তার নির্দেশনা বোর্ড তৈরি করে টাঙিয়ে দিতে হবে। আম দিয়ে বিস্কুট তৈরি করতে হবে। আবর্জনা দিয়ে বিদ্যুত ও সার উৎপাদন করতে হবে। মনে রাখতে হবে কোনো জিনিসই ফেলে দেয়ার নয়। প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সিটিজেন চার্টার তৈরি করে টাঙিয়ে দিতে হবে। আউশ ধান চাষ সঠিকভাবে হচ্ছে কি-না খোঁজ রাখতে হবে। স্কুলে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কি-না তা জানতে হবে। শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে নম্বর কম বেশি যেন না হয়। স্কুল -কলেজে শিক্ষার্থী- শিক্ষক উপস্থিত আছে কিনা তা জানতে হবে। দক্ষ গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ইটভাটা ও রাইচ মিলের কালো ধেঁয়া কিভাবে কমানো যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাট দিয়ে তৈরি মালামাল বিপণন ও দেশীয় পণ্য ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

ইনোভেশন সার্কেলের সভায় কৃষি সম্প্রসালণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়ার রহমান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার, বিআরডিবির উপপরিচালক শেখ ফিরোজ আহমেদ, জেলা তথ্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার পাল, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক এসএমএ সানী, মুখ্য পাট পরিদর্শক সৈয়দ আলউদ্দিন ও জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।