বিশ্ব টুকিটাকি : পাকিস্তানে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেলো মা-বাবা-মেয়ের

পাকিস্তানে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেলো মা-বাবা-মেয়ের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে মেয়ে ও মা-বাবা ডুবে মারা গেছেন। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুনহার নদীর বিসিয়ান গ্রামের অংশে মঙ্গলবার মেয়ে ও মা-বাবা ডুবে মারা যান। ১১ বছর বয়সী মেয়ে সেলফি তোলার প্রস্তুতি নেয়ার সময় পা পিছলে নদীতে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাফিয়া নদীতে পড়ে গেলে তাকে বাঁচাতে তার মা সাজিয়া আতিফ ঝাপ দেন। কিন্তু স্রোত তাকে টেনে নেয়। মেয়ে ও স্ত্রীকে ডুবে যেতে দেখে তাদের উদ্ধারে ঝাপ দেন আতিফ হুসাইন। কিন্তু তার ভাগ্যেও একই পরিণতি হয়। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আরশাদ খান জানিয়েছেন, সাফিয়া আতিফ নামের মেয়েটি নদীর কিনারে সেলফি তোলার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। মেয়ে ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু আতিফ হুসাইন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। আতিফ হুসাইন ও তার স্ত্রী সাজিয়া আতিফ দুজনেই পাঞ্জাবের চিকিৎসক। ছেলেমেয়েদের নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। অন্য দুই সন্তান- ৯ বছর বয়সী এক মেয়ে এবং ৬ বছর বয়সী এক ছেলে তাদের সাথে ছিলো।

মহারাষ্ট্রে ডাক্তারের বিষাক্ত ইনজেকশনের বলি ৬ জন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের মহারাষ্ট্রে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে ৬ জনকে হত্যার অভিযোগে এক ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যার অভিযোগে ৪৫ বছর বয়সী সন্তোষ পালকে প্রথমে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে আরো ৫ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। হত্যার পর নিজের ফার্মে লাশগুলো লুকিয়ে রেখেছিলো ওই ঘাতক। ঘাতকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে পাঁচটি দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করে ৬ জনকে হত্যা করে সন্তোষ পাল। নিহতদের ৫ জনই নারী। ফার্মে যাদের লাশ পাওয়া যায় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ২০০৩ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলো। গত ১৬ জুন ৪৯ বছর বয়সী একজন স্বাস্থ্যকর্মী নিখোঁজ হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এতে সামনে আসে সিরিয়াল কিলিংয়ের বিষয়টি।

লুইজিয়ানায় ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ভয়াবহ বন্যায় সোমবার পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছে। কর্তৃপক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি লোককে জরুরি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। রাজ্যের কিছু এলাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ২০ ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।  রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। লুইজিয়ানার গভর্ণর জন বেল এডওয়ার্ড সোমবার বাসিন্দাদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের রাজ্য ঐতিহাসিক বন্যায় আক্রান্ত যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তিনি বলেন, বন্যার পানি কমছে না, বরং কিছু এলাকায় বাড়ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যায় ৭ জন মারা গেছে। ২০ হাজারেরও বেশি লোককে অন্যত্র সরানো হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার বাড়ি ও ব্যবসাকেন্দ্র বিদ্যুত বিহীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে অধিকাংশ সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সড়কের অধিকাংশ রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা বলছে, কিছু কিছু এলাকায় বন্যার পানি কমেছে। কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা বন্যাক্রান্তদের সাহায্যের আবেদন জানানো শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার লোক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।

কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে আরো ৫ জনের মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো ৫ জন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। গত ৮ জুলাই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান মুজাফফর ওয়ানি নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে উপত্যকাটি। সরকারি হিসেবে তখন থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মোট ৬৫ জন নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কাশ্মিরের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে পৃথক দুই যায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। এতে নিহত পাঁচ জন ছাড়াও আরো ৩১ জন আহত হয়েছেন। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, বুদগাম জেলায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হলে চার জন নিহত হন। আরো ১৫ জন আহত হন সেখানে। আর দক্ষিণ কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলায় পুলিশের গুলিতে আহত অপর এক ব্যক্তি মারা যান। ওই ঘটনায় আরো ১৬ জন আহত হয়েছেন।

নেপালে বাস খাদে পড়ে ৩৩ জনের মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নেপালে গ্রামবাসীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে খাদে পড়ে গিয়ে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘটা এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২৮ জন। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে খারে খোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটি সড়ক থেকে গড়িয়ে ১৫০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। পাহাড়ি পথে বাসটি কার্তিক দেউরালি গ্রামের দিকে যাচ্ছিলো। গত বছরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে এ গ্রামটি অন্যতম।  ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের দেয়া প্রথম ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে গ্রামে ফিরছিলেন বাসটির অধিকাংশ যাত্রী। অনবরত বৃষ্টির কারণে গ্রামমুখী ওই সরু সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে ছিলো। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চিরঞ্জীবী নেপাল জানিয়েছেন, ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু হতাহত যাত্রীদের স্বজনরা জানিয়েছেন, আরো অনেকে নিহত হয়েছেন, কারণ সড়কটির নিচের ঢালে বাসটির ভেঙে যাওয়া অংশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আর সেখানকার বেশ কিছু জায়গায় কারো পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।

Leave a comment