গাংনীতে গ্রেফতার সেই জিনের বাদশা জেলহাজতে

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার সেই জিনের বাদশা ফজলু মিয়া এখন জেলহাজতে। গাংনী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে আটকের সময় পালিয়ে যাওয়া সাজু  ও মিনহাজুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। একই সাথে ওই চক্রের মূলহোতার সন্ধানে শুরু হয়েছে তদন্ত।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, জিনের বাদশা সেজে গাংনী উপজেলার রুয়েরকান্দি গ্রামের মৃত মুনছুর আলীর মেয়ে লিপি খাতুনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নেয়ার ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লিপি খাতুন বাদি হয়ে ফজলুকে প্রধান আসামি করে তার সহযোগী পলাতক সাজু ও মিনহাজুলের নামে গাংনী থানায় প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেন। ফজলু জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক দুই সহযোগিতার নাম পরিচয় দিলেও ঠিকানায় কিছুটা তথ্যগত ভুল ছিলো। পরে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ওই মামলায় গতকাল ফজলুকে আদালতে সোদর্প করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পলাতক সাজু ও মিনহাজুকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

এদিকে ফজলুর স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, জিনের বাদশা সেজে মূলত যে ব্যক্তি টাকা দাবি করে সে এখনো অধরা রয়ে গেছে। ফজলু কোনো অবস্থায় তার নাম পরিচয় বলেনি। তবে মোবাইলফোনে ফজলুকে পুণরায় জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মূলহোতাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা এখন সময়ের ব্যাপার বলে জানালেন ওসি।

উল্লেখ্য, মোবাইলফোনে নিজেকে জিনের বাদশা দাবি করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রুয়েরকান্দি গ্রামের লিপি খাতুনের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সংসারে অমঙ্গল হবে এমনটি ধ্বংস হবে বলেও ভয় দেখায় ওই ভণ্ড জিনের বাদশা।