চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর-রামনগর সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ছিনতাই

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর-রামনগর সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সড়কের সিরাজকাটা নামক স্থানের চার রাস্তার মোড়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মুখোশধারীরা। মোটরসাইকেল আরোহীর কাছে থাকা টাকা ও একটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে আরোহী মাসুমকে গাছের সাথে বেঁধে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে সটকে পড়ে ছিনতাইকারীরা। গতপরশু রোববার ঘটনার পরপরই রাত ৯টার দিকে দলিয়ারপুর ফাঁড়ি পুলিশের টহল দল তাকে উদ্ধার করে।

জানা গেছে, দামুড়হুদা কলাবাড়ি গ্রামের মাসুদ মাস্টারের ছেলে মাসুম দীর্ঘদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ায় বসবাস করেন। গতপরশু রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে ভালাইপুর-রামনগর সড়কের সিরাজকাটা নামক চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছুলে ৩ জন মুখোশধারী তার গতিরোধ করে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের মুখে মাসুমকে গাছের সাথে বেঁধে ১০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় মুখোশধারীরা। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। তবে টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পাটক্ষেতে ফেলে চাবি নিয়ে সটকে পড়ে তারা। কিছুক্ষণ পরেই সিরাজকাটা মোড়ে টহল পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় মাসুমের চিৎকার শুনে মাঠের মধ্যে যায় পুলিশ। মাসুমকে উদ্ধার করেন তারা। পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেত থেকে তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

ছিনতাইয়ের শিকার মাসুম বলেন, প্রায়ই সন্ধ্যার পর কলাবাড়ি থেকে তিনি চুয়াডাঙ্গায় যান। সিরাজকাটা মোড়ে ছিনতাই কবলিত হওয়ায় দলিয়ারপুর ফাঁড়ির টহল পুলিশ পাহারায় থাকে। পুলিশ থাকার কারণেই গত রোববার সন্ধ্যার পর রওনা দেন তিনি। তবে মাসুমের কাছে থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার পরপরই দলিয়ারপুর ফাঁড়ি পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

ভালাইপুর-রামনগর সড়কের সিরাজকাটা নামক চার রাস্তার মোড়ে দীর্ঘদিন ধরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে আসছে। সন্ধ্যার পরপরই শুধুমাত্র ওই স্থানেই একের অপর এক ঘটনা ঘটিয়ে আসছে ছিনতাইকারীরা।