নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামানকে সম্মাননা প্রদান

 

স্টাফ রিপোর্টার: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশেন প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে গত ২৯ জুলাই বিকেল ৩টায় উন্নয়ন উদ্ভাবনে জনপ্রশাসন ২০১৬ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সামিট ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়। দু দিনের সামিট এ প্রোগ্রামটির উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠপর্যায়ে নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন।

২০১৪ সালের ১৭ জুন খুলনা বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা থেকে বদলি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন কেএম মামুন উজ্জামান। নিয়মমাফিক কাজের বাইরে তিনি কীভাবে উপজেলার উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন স্টেডিয়ামের পাশে সাঁতার শেখার জন্য একটি শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। যেখানে উচ্চতাভিত্তিক ছেলে মেয়েরা সাঁতার শিখতে পারেন। কারণ শাররীক সুস্থতা, চাকরিতে শারীরিক যোগ্যতার প্রমাণ, অতিবন্যায় সাঁতার কেটে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় গ্রহণ করা, সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে গিয়ে বিপদে না পড়াসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিটি মানুষের সাঁতার শেখা প্রয়োজন। তিনি নিজ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চুয়াডাঙ্গায় নেই। এছাড়াও তিনি বাল্যবিয়ে নিরোধ, মাদক নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, সরকারি বরাদ্দে যথাযথ ব্যবহার, উপজেলা পরিষদ চত্বরকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলেছেন। যা ইতোমধ্যে সকলের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে।

তিনি চুয়াডাঙ্গায় যোগদানের পূর্বে শরণখোলায় আড়াই বছর থাকাকালীন সময়ে ৯০ শতক জমির ওপরে নিজ উদ্যোগ এবং বিত্তবানদের সহযোগিতায় একটি আধুনিক আইডিয়াল ইনস্টিটিউট নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে পিছিয়ে পড়া কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকশিত হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, মানুষের সদিচ্ছা থাকলে বাঁধা অতিক্রম করে অনেক কিছু করা সম্ভব। একদিন আমি এখানে থাকবো না। থাকবে আমার কর্মগুলো। ভালো কিছু করার জন্য চাই সকলের সহযোগিতা। সময় পেলে আমার আগামী পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে যাবো ইনশাল্লাহ। যার সুবিধা একদিন এখানকার মানুষ ভোগ করবে। আর আমাকে স্মরণ করবে।

 

Leave a comment