দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণ থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র সজীবের হদিস মেলেনি। পুলিশসহ নিখোঁজ স্কুলছাত্র সজীবের স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালালেও এখনও পর্যন্ত তার কোনো হদিস না মেলায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে। উপজেলার সর্বমহলে এখন একটিই আলোচনা সজীবকে সত্যিই কী অপহরণ করা হয়েছে না-কী নেপথ্যে অন্য রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, মেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র সজীবকে উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। নিখোঁজের পরদিন তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন ট্রাকিং করে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টা ৫ মিনিট পর্যন্ত তার লোকেশন ছিলো দামুড়হুদায়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার লোকেশন ছিলো চুয়াডাঙ্গা এবং সর্বশেষ তার লোকেশন পাওয়া যায় মেহেরপুর বাড়াদী এলাকায়। তাকে উদ্ধারের জন্য আমাদের আন্তরিকার কোনো ঘাটতি নেই। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে রাজি হচ্ছে না। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া সজীবের বন্ধু শীতলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সজীব তার কাছ থেকে দুশ টাকা ধার নিয়েছে বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে নিখোঁজ সজীবের মোবাইলফোন থেকেই তার মায়ের কাছে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে বলে এলাকায় জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও তার পরিবারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের ব্রিজপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজীব গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণ থেকে নিখোঁজ হয়। তার ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি মেলার মাঠের পাশেই নির্বাচন অফিসের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে মেলার মাইকে ঘোষণাও দেয়া হয়। এ ঘটনায় সজীবের নানা আব্দুল হামিদ পরদিন শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সারারাত বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িসহ তার বন্ধুদের কাছেও খোঁজ নেয়া হয়। কিন্তু কেউই তার খোঁজ দিতে পারেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি।