দামুড়হুদা প্রতিনিধি: সর্বেস্ব খুইয়ে খালি হাতে দেশে ফিরে দামুড়হুদা বিষ্ণুপুরের দু যুবক হাবিবুর ও রহিম আদমব্যাপারী জুড়ানপুরের ছাত্তার মল্লিকের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। গতপরশু দামুড়হুদা মডেল থানায় ওই মামলা নথিভুক্ত করা হয়। এদিকে মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আদমব্যাপারী ছাত্তার মল্লিক গাঢাকা দিয়েছে বলে এলাকাসূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুরের আদমব্যাপারী ছাত্তার মল্লিক নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিষ্ণুপুরের দু যুবক হাবিবুর রহমান ও রহিমের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন ঘুরানোর পর ৮ লাখ নিয়ে হাবিবুরকে নিউজিল্যান্ডের পরিবর্তে সাইপ্রাসে পাঠায়। ওখানে পৌছে টমাস নামের এক দালাল বেঁচে দেয় হাবিবুরকে। অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে ৩ মাস ১০ দিন পর ঈদের আগের দিন দেশে ফেরেন হাবিবুর।
অপরদিকে আদমব্যাপারী ছাত্তার রহিমকেও একইভাবে ৮ লাখ টাকা নিয়ে গত ৬ জুন সাইপ্রাসে পাঠায়। ওখানে পৌঁছানোর পর এক দালাল তাকে নিয়ে যায় পাহাড়ের নিচে এক গভীর জঙ্গলে। ওখানে দুই দিন বন্দী জীবনযাপনের পর জানালা দিয়ে ৪/৫ জন বাঙালিকে দেখতে পেয়ে রহিম তাদের সাহায্য চাই। তারাই রহিমকে খাবার খাইয়ে কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে এবং রহিমকে তার বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য রহিম পিতার কাছে জানানোর পর সে সম্প্রতি দেশে ফেরে। হাবিবুর ও রহিম দেশে ফিরে দেখা করে আদমব্যাপারী ছাত্তার মল্লিকের সাথে। টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে হুমকি দেয়া হয় এবং গালাগালি করে তাড়িয়ে দেয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত দু যুবক হাবিবুর ও রহিম প্রতারক আদমব্যাপারীর নামে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেন, প্রতারক আদমব্যাপারী ছাত্তার গাঢাকা দিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।