দুই হোটেল মালিক ও চার রাইচ মিল মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক অভিযানে ভালাইপুরের দুই হোটেল মালিক ও জীবননগরের চার অটো রাইচ মিল মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত, মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ভালাইপুর মোড়ের দুই হোটেল ব্যবসায়ীকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহারের দায়ে জীবননগরের চার অটো রাইচ মিলের মালিককে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর বাজারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বাজারের বিসমিল্লাহ হোটেলে অভিযান চালানো হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত, মজুদ ও বিক্রির দায়ে হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ভালাইপুর মোড়ের শান্তি হোটেলে অভিযান চালিয়ে একই অপরাধে মালিক সোহেল রানা শান্তিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন সেনেটারি ইন্সপেক্টর জামাত আলী। সহযোগিতা করেন বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হক ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।

এদিকে গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. শামসুজ্জামানের নেতৃত্বে জীবননগরে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পণ্যে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক সত্ত্বেও প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার করায় উপজেলার চার অটো রাইচ মিল মালিককে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইনে জীবননগরের মেসার্স বিল্লাল অটো রাইচ মিলের (দেশবাংলা) ব্যবস্থাপক হায়দার আলীকে ১৫ হাজার টাকা, মেসার্স নাসরিন অটো রাইচ মিলের মালিক আব্দুল কাদের প্রধানকে ১৫ হাজার টাকা, মেসার্স কলি রাইচ মিলের মালিক খলিলুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা এবং জীবননগর থানা মোড়ের মেসার্স সততা ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন মুখ্য পাট পরিদর্শক সৈয়দ মো. আলাউদ্দিন। সহযোগিতায় ছিলেন বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হক ও জীবননগর থানা পুলিশ।