দামুড়হুদায় বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণ থেকে স্কুলছাত্র সজীব নিখোঁজ না-কি অপহরণ?

 

একমাত্র ছেলের খোঁজ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মা হাসপাতালে : পাগল প্রায় বোন সোনিয়া

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণ থেকে সজীব নামের এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের ব্রিজপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভিজে হাইস্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছাত্র সজীবের নানা মুজিবনগর গৌরীনগরের আব্দুল হামিদ গতকাল শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ সজীবের  (১৪) বন্ধু শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে। গত শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরের বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণ থেকে সে নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজ ছাত্র সজীবের বোন সোনিয়া জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সে মেলা দেখতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় আমি তাকে খুঁজতে রাত ৯টার দিকে ওই মেলা প্রাঙ্গণে যায়। কিন্তু তাকে খুঁজে পায়নি। তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মেলার মাঠের মাইকে ঘোষণাও করা হয়। ওই সময় সজীবের বন্ধু শাকিলের সাথে আমার দেখা হয়। শাকিল বলে আমি সজীবকে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরতে দেখেছি। পরে তার ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি মেলার মাঠের পাশেই উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সারারাত বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ তার বন্ধুদের কাছেও খোঁজ নেয়া হয়। কিন্তু কেউই তার খোঁজ দিতে পারেনি। তিনি আরও বলেন গত নভেম্বর মাসে আমার মায়ের মোবাইলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজে লেখা ছিলো যদি টাকা না দিস তবে তোর একমাত্র ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করা হবে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, মেলা প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্র সজীবকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেয়া হয়। সর্বশেষ তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন ট্রাকিং চলছে। সে নিজেই কোথাও গিয়ে আত্মগোপন করেছে না-কী তাকে কেউ অপহরণ করেছে তা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ মুক্তিপন দাবি করেনি। তাকে উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি।

এ দিকে নিখোঁজ ছাত্র সজীবের মা মাহবুবা খাতুন তার একমাত্র ছেলের হদিস না পেয়ে গতকাল সকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর নিয়ে ভর্তি করা হয়। দিনভর বিলাপ করতে দেখা গেছে বোন সোনিয়াকে।