জীবননগরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা : অভিযুক্তদের গাঢাকা

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে নির্যাতন ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার জীবননগর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। নির্যাতিত গৃহবধূর পিতা আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিকে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ দগ্ধ জামিলা খাতুন গতকাল শনিবার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অপরদিকে মামলা দায়েরের খবরে বাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা।

মামলার বাদীর অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ার দোসীমানাপাড়ার মুন্নাফ আলীর ছেলে মোক্তার হোসেনের (২৬) সাথে আমার মেয়ে জামিলা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক হিসেবে জামাই মোক্তার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দিই। আবারও যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় নির্যাতন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাত রান্না করতে দেরি হওয়ার অজুহাতে জামিলাকে নির্যাতন করা হয়। জামাই মোক্তার হোসেন, তার পিতা মুন্নাফ, মা মনোয়ারা খাতুন ও জামাইয়ের বোন জোছনা মেয়েকে মারধর করে। তারা চুলোর জ্বলন্ত খড়ির ছ্যাকা দিয়ে জামিলা খাতুনকে নির্যাতন করে। তার পেটের একাংশ পুড়ে ঝলসে গেছে। খবর পেয়ে মেয়ে জামিলা খাতুনকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায় মোক্তার হোসেনসহ তাদের লোকজন। আমাদেরকে নানা হুমকিও দেয় তারা। গতকাল শনিবার দগ্ধ গৃহবধূ জামিলা খাতুন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ লিয়াকত আলী জানান, অভিযোগটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে শাহাপুর ক্যাম্প ইনর্চাজ এসআই ওলিয়ার রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওলিয়ার রহমান বলছেন, মামলার তদন্তভার পেয়ে আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।