চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ১২শ তম পদধ্বনি : চমৎকার আয়োজন

 

সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় গতিবাড়িয়ে সামাজিক অবক্ষয় রোধের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: ‘চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ’ মানেই মননশীলদের পদচারণায় মুখোরিত এক আঙিনা। চুয়াডাঙ্গায় সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম ধারক বাহক। এই সাহিত্য পরিষদ প্রতি শুক্রবার বসে সরোচিত গদ্য পদ্য পাঠের আসর। নতুন নয়। দু যুগেরও অধিক সময় ধরে। তা-না হলে কি গতকাল সাপ্তাহিক স্বরচিত লেখা পাঠের আসর পদধ্বনির ১২শ পর্ব পূর্ণ হয়?

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ১২শ তম পদধ্বনি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত নবীণ প্রবীণদের পদচারণা, স্মৃতিচারণ। আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ মোহিত বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় নবীণদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। চর্চায় গতিশীলতা আনতে হবে, নইলে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে না। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি মো. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদধ্বনি আসরের ১২শতম আসর অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের প্রবীণ আইনজীবি বজলুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাবেক সহসভাপতি নুর-ই আলম মোর্শেদা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সম্পাদক রিচার্ড রহমান, স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন কবি গোলাম কবীর মুকুল ও কাজল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে স্বরচিত লেখা পাঠ করেন গোলাম কবীর মুকুল, অমিতাভ মীর, কাজল মাহমুদ, ছড়াকার আনছার আলী, অভিষেক হোসেন প্রান্ত, শাহিদা খাতুন, মেহেরীন তামান্না, কালুব বারী মাস্টার, আনোয়ার রশিদ সাগর, হাবিবি জহির রায়হান, সুমন চৌধুরী, শাহাদাত্ সুমন, মুর্শিদ, ডা. কামরুজ্জামান মধু, গুরু কাজল মল্লিক, মাহির তাজওয়ার, আব্দুর রহিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, সলিল চৌধুরী রচিত ‘এক গোছা চাবি’ কবিতার প্রাণবন্ত আবৃত্তি শুনিয়ে উপস্থিত সকলকে বিমোহিত করে দেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের জীবন সদস্য ও কবি অমিতাভ মীর।