গাংনীতে পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে পানিতে ডুবে ফরহাদ হোসেন (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধুদের সাথে গোসল করার সময় গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

ফরহাদ হোসেন গাংনী সিদ্দিকীয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী সাইফুল্লাহর ছেলে এবং গাংনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। সাইফুল্লাহ স্বপরিবারে গাংনীম মাদরাসাপাড়ার মতিয়ার রহমানের বাসায় ভাড়ায় থাকেন। জানা গেছে, প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শুক্রবার বাসার পাশর্^বর্তী হাজি মহাসিন আলীর পুকুরে গোসল করতে যায় ফরহাদ। সাঁতার কাটার এক পর্যায়ে সে পুকুরের গভীরে পৌঁছে পানিতে ডুবে যাচ্ছিলো। তার দুই বন্ধু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর তারা হাল ছেড়ে দেয়। পানির নীচে ডুবে যায় ফরহাদ। পরে স্থানীয় লোকজন পুকুর থেকে ফরহাদকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ বাসায় নেওয়া হয়। বাদ আছর সিদ্দিকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ নিয়ে পরিবারের লোকজন ফেনি জেলার গোবিন্দপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে আজ সকালে নিহতের দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাদার কবরের পাশে দাফন করা হবে। নিহত ফরহাদ হোসেন মাও. সাইফুল্লাহর একমাত্র সন্তান। সন্তান হারিয়ে তাইতো পিতামাতা পাগল প্রায়। সাইফুল্লাহ মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি মাদ্রাসাপাড়া মসজিদ ও গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা ছিলেন গাংনী সিদ্দিকীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। এলাকায় একজন ভাল আলেম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাইফুল্লাহ। একমাত্র ছেলেকে তিনি নিজের আদর্শে মানুষ করছিলেন। একমাত্র বুকের ধন হারিয়ে অনেকেটাই দিশেহারা তারা।

Leave a comment